যেতে হবে সৌদি
নিজস্ব প্রতিবেদক,প্রতিক্ষণ ডট কম
ইস্কাটন গার্ডেনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে তিল ধরার ঠাঁই নেই। সৌদি গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের ভিড়ে ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
সড়কের এক মাথা “রমনা থানা মোড়” থেকে আরেক মাথা “পরিবাগ মোড়” পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য। সবারই এক কথা-নিবন্ধন করতে হবে। যেতে হবে সৌদি আরব।
রমনা থানার সামনে ফুটপাতে বসে গভীর মনযোগ দিয়ে নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করছিলেন বগুড়ার মো. আতাউর রহমান এবং তাকে সহযোগিতার করছিল তার নিকটজনরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ফেব্রুয়ারী) ভোর থেকেই তৃতীয় দিনের মতো সৌদি গমনেচ্ছু হাজারো মানুষের ভিড় জমে উঠেছে।বুধবার গভীর রাতেও কয়েকজনকে ফর্ম নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে ভবনের গেটের সামনে।
এই প্রতিবেদক তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিন বলেন, ভাই সময় নেই, ফর্ম পুরন করে আবার জমা দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে।ততক্ষণে ফরম জমা দেয়ার লাইন প্রবাসী কল্যাণ ভবনের গেট থেকে রমনা থানা মোড় পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে।
আতাউর রহমানের মতো এরকম হাজারো লোক ভির জমিয়েছেন ভবনের সামনে।লক্ষ্য একটাই তা হচ্ছে- যত দ্রুত সম্ভব নিবন্ধন সম্পন্ন করা।গত দুইদিন ধরেই এই ভিড়। তবে আজকের ভির গত দুই দিনেরটা ছড়িয়ে গেছে।
ফর্ম পুরনের পর কথা হয় আতাউরের সাথে, যিনি পেশায় একটি মাদ্রাসা শিক্ষক। তিনি বলেন, ভাই দেশে মাদ্রাসায় পড়িয়ে যেটাকা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে না। সংসারের স্বচ্ছলতার জন্যই সৌদি আরব যাওয়ার বাসনা।
বৃহস্পতিবার ভোরে মানুষের ভির শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিরও যেন বাড়ছিল। এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।নিবন্ধন ফরম জমার দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন কুমিল্লার আবুল হোসেন। তার কাছে জানতে চাইলাম নিবন্ধনের সময়তো আছে তারপরও এত ভিড়ের মধ্যে আজকে আসলেন কেন?
জবাবে বলছিলেন, ‘ভাই সরকার নাম মাত্র মূল্যে সৌদি আরব যাওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই সুযোগ হাত ছাড়া করা যায় না। দ্রুত ফর্ম পুরণের জন্য চেলে এসেছি।’
প্রসঙ্গত, কার্যত বিনা খরচে সৌদি আরব যাওয়ার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হওয়ার পর নিবন্ধনের জন্য মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এসম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশি শ্রমিকদের সৌদি আরবে যাওয়ার খরচ বহন করবে সে দেশের রিক্রুটিং কোম্পনিগুলো।
এছাড়া সৌদি আরব প্রতিমাসে প্রায় ১০ হাজার করে শ্রমিক নেবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ রাজু