রহস্যজনকভাবে উধাও পুরো গ্রামবাসী!

প্রকাশঃ আগস্ট ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ১:০৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:০২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

village of deadহলিউড সিনেমার কল্যাণে আমরা বিভিন্ন সিনেমায় জম্বি ভতের আক্রমণের দৃশ্য দেখি। হুট করে একদল পিশাচ কোন শহরে বা এলাকায় আক্রমণ করে আর তারা যাকে আক্রমণ করে সেও জম্বি ভূত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভাবুনতো যদি এমন ঘটনা বাস্তবেও ঘটে তাহলে কেমন হবে! এমন না ঘটলেও কানাডার এক গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষ একবারে গায়েব হয়ে গিয়েছিল যে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি। গ্রামটি ‘ভিলেজ অব ডেড’ নামেই পরিচিত।

ভিলেজ অব ডেড গ্রামটি উত্তর পশ্চিম কানাডার আজকূনি হ্রদের পাশে অবস্হিত। বছরের প্রায় বারো মাসই বরফের চাদরে ঢাকা থাকতো গ্রামটি। গ্রামের বাসিন্দার সংখ্যা ছিল প্রায় দুই হাজার। গ্রামটির লোকজনের উপার্জনের মাধ্যম ছিল পশু পালন করে সেইসব পশুর পশম বিক্রী করে তাদের জীবন যাপন করতেন। গ্রামটিতে পশু এবং পশুর লোম ক্রয়ের জন্য প্রচুর ব্যবসায়ী যাতায়াত করেছেন।গ্রামটির অধীবাসীরা সবাই আন্ঞ্জুকূণী গোত্রের।

১৯৩০ সালের আগ পর্যন্ত এই গ্রামটি তেমন একটা বিখ্যাত ছিল না। বাণিজ্যিক কাজে কিছু মানুষের আনাগোনা থাকলেও এতটা খ্যাতি গ্রামটির কখনোই ছিল না। কিন্তু ১৯৩০ সালে প্রকাশিত একটি ঘটনার পরই সবার নজরে চলে আসে গ্রামটি।

সে বছর একজন সাংবাদিক ম্যানিটোবার নিকটবর্তী আজনিকুনি হ্রদের পাশেই একটি গ্রামের কথা প্রকাশ করেন। এই হ্রদটি উত্তর-পশ্চিম কানাডায় অবস্থিত। নিভৃত এই গ্রামটি পশুর লোম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত ছিল। পশম কেনার জন্য সেখানে ব্যবসায়ীদের ভালো যাতায়াত ছিল। ঘটনার প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী জো লাবেল নামের একজন পশম ব্যবসায়ী।

লাবেলের ভাষ্য মতে, তিনি একদিন পশম সংগ্রহের উদ্দেশে গ্রামে যান। আর গ্রামের ভেতর গিয়ে দেখেন সেখানে একটি মানুষও নেই। গ্রামের সব মানুষ কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, তারা যে শার্টগুলো বুনছিল সেগুলো অসমাপ্ত অবস্থায় পড়েছিল। খাবারগুলো তখনো চুলোতে গরম হচ্ছিল। দেখে মনে হচ্ছে একটু আগেও এখানে অনেক মানুষের উপস্থিতি ছিল। সব দেখে মনে হলো গ্রামের সবাই আকস্মিকভাবে গ্রাম ত্যাগ করেছে। একটির পর একটি বাড়ি ঘুরেও কোনো মানুষের দেখা পাওয়া গেল না। সবখানে একই অবস্থা। কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সবাই। এর মধ্যেই সাতটি কুকুরকে অনাহারে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেল।

এ ছাড়া গ্রামের একমাত্র কবরস্থানের সবগুলো কবর পাওয়া গেল খোদিত অবস্থায়! কিন্তু কবরস্থানের ভেতরে কোনো লাশের দেখা মিলল না। ভেতরের সবগুলো লাশ কোথায় যেন উধাও হয়ে গেছে। এটা কোনো প্রাণীর কাজ নয়, কারণ কবরের সঙ্গে যে পাথরের ফলক ছিল সেগুলো যথাস্থানেই ছিল। উৎকট এই দৃশ্য দেখার পর ভড়কে যান লাবেল।

তিনি দ্রুত দ্য রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে খবর দেন। মেজর থিওডোর লিস্টোর্টের নেতৃত্বে দ্য রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ পুরো গ্রাম ও আশপাশের এলাকা তন্ন তন্ন করে খুঁজল। কোনো গ্রামবাসীকে পাওয়া গেল না। তবে পুলিশ আরও ভয়াবহ কিছুর সন্ধান পেল।

লেখক জর্জ সাভারভিও, যিনি এই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ১৯৩১ সালের জানুয়ারিতে নর্থওয়েস্ট জার্নালে এ সংক্রান্ত ৫ পর্বের একটি নিবন্ধ লিখেন। তার ভাষ্য মতে পুলিশ দেখল, ওই গ্রামের এস্কিমোদের পূর্বপুরুষদের সবগুলো কবর খোদিত অবস্থায় আছে আর সেগুলোর ভেতর থেকে লাশগুলো গায়েব! যে বা যেটি গ্রামবাসীদের নিয়ে গেল সে কি একই সঙ্গে কবরগুলোর ভেতরে থাকা লাশগুলোও নিয়ে গেছে? কিন্তু কবরের ওপরের মাটি বরফ জমে এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছিল যে এগুলো খনন করা যে কারও জন্যই বেশ দুঃসাধ্য কাজ। শুধু এই গ্রামের এস্কিমোদের সবচেয়ে প্রাচীন গোত্রপ্রধানের কবর অক্ষত ছিল।


সবাই যা পড়েছেঃ

# ফের ভাঙনের পথে প্রভার সংসার

# ঢালিউদের ১৫ টি রোমান্টিক চলচ্চিত্র

# সেপ্টেম্বরে ঢাকা আসছেন সানি লিওন

# বিশ্বের সবচেয়ে অদ্ভুত সাইকেল গ্যারেজ

# এই গ্রহের বিস্ময়কর পাহাড় (শেষ পর্ব)

# সন্তান জন্ম দেবে রোবট!


প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G