রহস্যময় ৫ ঘটনা

প্রকাশঃ নভেম্বর ২, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

Bermuda-Triangleবারমুডা ট্রায়াঙ্গেল:  যুগ যুগ ধরে চির রহস্যময় একটি জায়গা হল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।

আজও মানুষ এর রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না, কেন এর কাছাকাছি কোন যাত্রীবাহী জাহাজ অথবা উড়োজাহাজ গেলে আর খুঁজে পাওয়া যায় না?

কেন এর কাছাকাছি গেলে মানুষ সব অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়? একদল গবেষক মনে করেন এই সমুদ্রের নীচে রয়েছে অন্য গ্রহের মানুষের বসবাস, তারাই এই সকল ঘটনার জন্য দায়ী।

আবার অনেকে মনে করেন হয়তো কোন অদ্ভুত কারণে পৃথিবীর সাথে বাইরের কোন গ্রহের অদৃশ্য একটি দরজা সৃষ্টি হয়েছে। হয়ত এসকল জাহাজ বা প্লেন সেই অদৃশ্য দরজার ফাদে পড়ে চলে যায় অন্য কোন গ্রহে।

dainaপ্রিন্সেস ডায়নার হত্যাকান্ড: আরেকটি সব থেকে বিতর্কিত ঘটনা হল প্রিন্সেস ডায়নার হত্যাকান্ড। ১৯৯৭ সালে প্রিন্সেস ডায়না এবং তার প্রেমিক ফায়াদ এক ভয়াভহ গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যায়। বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের নির্দেশে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা MI6 এই দূর্ঘটনার আড়ালে এই ভয়াভহ হত্যাকান্ডটি ঘটিয়েছিলো।

অনেকে মনে করেন প্রিন্সেস ডায়নার তুমুল জনপ্রিয়তা, সত্যবাদিতা এবং রাজপরিবারের সমালোচনা ব্রিটিশ রাজ পরিবারকে বিব্রত এবং অস্বস্তিকর অবস্হায় ফেলে দিয়েছিলো।

আবার ফায়াদের সাথে প্রিন্সেস ডায়নার সম্পর্ক ব্রিটিশ রাজপরিবার এবং ইংল্যান্ডের জন্য জাতীয় নিরাপত্তার এক বিশাল ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছিলো, তাই হয়তো এই হত্যাকান্ডটি ঘটানো হয়েছিল।

tsunumi২০০৪ সালের ভারত মহাসাগরের সুনামি: ২০০৪ সাল এটি ছিল এশিয়ার মানুষদের জন্য খুব বেদনাদায়ক একটি দিন।

এশিয়ার সমুদ্ররের পাশ্ববর্তী দেশগুলোর মানুষেরা এদিন প্রকৃতির এক ভয়াবহ ও নিষ্ঠুর খেলার বাস্তব রূপ দেখতে পায়।

বিশাল আকারের এই প্রকৃতিক দুর্যোগ সুনামী আছড়ে পড়ে সমুদ্র পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশে। লাখ লাখ মানুষ মারা যায় এই নিষ্ঠুর সুনামীতে। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলংকায় এই দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশী। বিশ্ববাসী কখনোই প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর ও ভয়াবহ রূপ ভুলতে পারবে না।

কিন্তু মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সংবাদপত্রের দাবী এর পিছনে বিশ্বের শক্তিশালী বেশ কয়েকটি দেশের হাত রয়েছে। গোপনীয় পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনাক্রমে বিস্ফোরণে এই সুনামীর সৃষ্টি হয় বলে ধারণা করেন অনেকে।

Aids 4 copyHIV ভাইরাস ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিলো: AIDS হছে একটি মরণব্যাধি রোগ। যার চিকিৎসার উপায় এবং ঔষুধ এখন পর্যন্ত গবেষকরা আবিষ্কার করতে পারেনি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে মরণব্যাধী রোগ হোল এটি।

প্রতিবছর বিশেষ করে আফ্রিকার প্রায় প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে। Dr William Campbell Douglass প্রথমে একটি থিওরি দেন, পরে অনেক চিকিৎসক তাকে সমর্থন জানান।

উনার মতে HIV ভাইরাসটি ১৯৭৪ সালে WHO এর পরিকল্পনা অনুযায়ী ল্যাবটেরীতে গবেষণা করে বানানো হয়েছিলো। বিশ্ব জনসংখ্যা কমানোর জন্য এটি বানানো হয়।

পরে বিভিন্নভাবে এই ভাইরাসটি সম্পূর্ণ আফ্রিকায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে দেয়া হয়। আরেকদল বলে CIA অথবা KGB এই দুটির সংস্থার যেকোন একটি নিজেদের স্বার্থের জন্য এই ভাইরাসটি বানিয়েছিলো। কিন্তু কোন একটি দূর্ঘটনার কারনে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে এটি ছড়িয়ে পড়ে।

FluorideFluoride প্রয়োগকে বাঁধা দিচ্ছে না WHO: দাতের ক্ষয়রোধ করার জন্য পানযোগ্য পানিতে Fluoride মেশানো হয় এটা আমরা সবাই কম বেশি জানি।

আবার বৈজ্ঞানিকভাবেই এটি প্রমাণিত যে এই Fluoride এর অনেক খারাপ দিকও আছে।

এর বিভিন্ন রকম পার্শ্বপ্রতিকিয়া মানুষের শরীরকে বিভিন্নভাবে আক্রান্ত করে। একদল গবেষক এর ধারণা এসব জানা সত্ত্বেও WHO এই Fluoride প্রয়োগকে বাঁধা দিচ্ছে না।

কারণ এর পিছনে রয়েছে বিশাল এক ব্যবসা। এর পিছনে রয়েছে বিশাল বিশাল সব ঔষুধ কোম্পানী। কারন মানুষ অসুস্হ থাকলেই তো এদের লাভ। আর মানুষ যদি অসুস্থ না থাকে তাহলে এত ঔষুধ কোম্পানী চলবে কি করে ?

প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G