রাতের খাবারে ‘কালাভুনা’
নিজস্ব প্রতিবেদক
কালাভুনা খায়নি এমন লোক এখন খুজে পাওয়া খুবই কষ্টকর। বাসার সামনের হোটেলেও এটি এখন হচ্ছে। সাধারন গরুর গোশতর পাশাপাশি কালা ভুনাও থাকে হোটেলগুলোতে। কালাভুনা একটি ইরানী খাবার। এটা কিভাবে বাংলাদেশে ঢুকে গেছে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি তবে ধারণা করা হয় মোঘলদের হাত ধরেই এটি উপমহাদেশে আসে।
আজ প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য থাকছে কালাভুনা রান্নার রেসেপি। যেটি থেকে খুব সহজেই তারা কালাভুনা তৈরি করতে পারেন এবং রাতের খাবারে পরিবার এর সদস্যদের পরিবেশন করাতে পারেন।
উপকরনঃ
– পৌনে এক কেজি হাড় ছাড়া গরুর মাংস (কিউব সাইজে কাটলে ভাল দেখাবে)
– মরিচ গুড়া (ঝাল বুঝে) হাফ চামচ বা তার বেশী
– হলুদ গুড়া এক চামচ
– জিরা গুড়া হাফ চামচ
– ধনিয়া গুড়া হাফ চামচ
– এক চাচম পেঁয়াজ বাটা
– দুই চামচ রসুন বাটা
– হাফ চামচ আদা বাটা
– গরম মশলা (সামান্য দারুচিনি, কয়েকটা এলাচি)
– হাফ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– পরিমাণ মত লবন
– তেল (সরিষার তেল হলে বেশি ভাল হয়)
* স্বাদ বাড়াতে আরো অনেক মশলা ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রনালীঃ
১. মাংস কেটে ধুয়ে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচা মরিচ রেখে সব মশলা ও লবন তেল দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে।
২. এবার মাখানো মাংস হালকা আঁচে চুলায় তুলে দিতে হবে।
৩. কিছুক্ষন পর দুই কাপ পানি দিয়ে আবারো ঢাকনা দিয়ে দিন। মাংস সিদ্ব হতে সময় লাগবে। যদি মাংস না নরম হলে তবে আবারো গরম পানি দিয়ে ঝোল বাড়িয়ে সিদ্ধ করতে পারেন।
৪. মাংস নরম ও ঝোল শুকিয়ে গেলে মাংস সরিয়ে রাখুন।
৫. অন্য একটা কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি ও কয়েকটা কাঁচা মরিচ ভাঁজতে থাকুন, সোনালী রং নেমে আসবে।এবার সেই কড়াইতে গরুর মাংস দিয়ে ভাঁজতে থাকুন। হালকা আঁচে।
৬. খুন্তি দিয়ে ভাল করে নাড়ুন, পুড়ে যাবে না কিন্তু ভাজিতে রং কালো হতে থাকবে। এই সময় চুলা ছেড়ে যাবেন না। কাছেই থাকুন এবং নাড়ান।
৭. ফাইন্যাল লবণ দেখুন। লাগলে ছিটিয়ে দিন, না লাগলে ওকে বলুন।
ব্যাস তোইরি হয়ে গেল আপনার হাতে রান্না করা কালাভুনা।এবার সুন্দরভাবে পরিবেশন করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর