রাশিয়া কি ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে? (ভিডিও)
যুদ্ধের প্রশ্ন উত্থাপন করে ওয়াশিংটন এবং মস্কোর পারমাণবিক সংঘর্ষ সহ সংঘাতের এড়াতে আলোচনায় বসা উচিত কিনা, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ব নেতারা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের যুদ্ধের বিষয়ে তার কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন, কারণ মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রের বিপর্যয়ের পরে আলাদা ভাবে আলোচনা করেছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান শুক্রবার বলেছেন, পুতিন অতীতের তুলনায় ইউক্রেনের সাথে “অনেক নরম এবং আলোচনার জন্য আরও খোলা মেলা” বলে মনে হচ্ছে।
এরদোগান সংঘাত থামাতে আলোচনার সম্ভাবনা সম্পর্কে বলেছেন- “আমরা আশাহীন নই”। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, পুতিন “শুরু থেকেই” আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং “কিছুই পরিবর্তন হয়নি। আপনার যদি মনে থাকে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বিশেষ সামরিক অভিযানের আগেও ন্যাটো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ের সাথে আলোচনা শুরু করার চেষ্টা করেছিলেন। রুশ এবং ইউক্রেনীয় [আলোচনাকারীদের] মধ্যে বিষয়বস্তু একমত হলে পুতিন আলোচনার জন্য উন্মুক্ত ছিলেন। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে, কিছুই পরিবর্তন হয়নি। ইউক্রেনীয় পক্ষের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। ইউক্রেনের আইন এখন কোনো আলোচনাকে নিষিদ্ধ করেছে।”
এই মাসের শুরুর দিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ একটি সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধ শেষ করার উপায় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তুরস্কের সাথে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। এখনও আলোচনার জন্য কোন গুরুতর প্রস্তাব পায়নি।
কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংঘাতটি ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সাথে তুলনা করেছে। যা বিশ্বকে পারমাণবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে এবং ওয়াশিংটন এবং মস্কোর পারমাণবিক সহ সংঘাতের এড়াতে আলোচনায় বসা উচিত কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব নেতারা।
সূত্র : আল-জাজিরা