রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের বিরোধিতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনইচসিআর। শুক্রবার কোনো ভোট ছাড়াই খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। তবে ভারত এর বিরোধিতা করে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে।
খসড়া প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার উত্থাপনের কথা থাকলেও মিয়ানমার প্রতিনিধির অনুপস্থিতির কারণে হয়নি। ভারত অবশ্য ওইদিনই এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। জেনেভায় জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি অজিত কুমার এই প্রস্তাবকে ‘চরম পর্যায়ের প্রথাগত এবং তত্ত্বের সঙ্গে পরিব্যাপ্ত নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন। তার দাবি , রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকারদের পুনর্বাসন করতে মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে সম্মত হয়েছে। তাই এ প্রস্তাবের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
খসড়া প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদেরসহ সবার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পুনঃপর্যালোচনা করে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতিনিধি খসড়া প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, ‘মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের যে ইঙ্গিত করা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল। এটা শুধু একটি ভুল অনুমান, বাস্তবতা নয়। আপনারা যদি এটাকে নিঙড়ে মানবাধিকার ইস্যুতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে অনেক বড় ভুল করছেন।’
গত মে মাসে থাইল্যান্ডের শঙ্খলা প্রদেশের জঙ্গলে একটি গণকবর থেকে ৩৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের জাতিগত সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম। মানবপাচারকারীদের শিকার এসব রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া নেয়া হচ্ছিল। এরপর ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা। এদের বেশিরভাগই রোহিঙ্গা। এরপরই রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছিল জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। তবে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বারবারই নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর