শসার স্বাস্থ্য উপকারিতা
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
এদেশের প্রায় সব ব্যস্ত এলাকায় শসাওয়ালাদের অবাধ ঘোরাফেরা। নগরবাসীও চলার পথে কাজের ফাঁকে শসাওয়ালাদের কাছে ঢুঁ মারেন। পেটে ক্ষুধা, রাস্তায় জ্যাম, বাড়ি ফিরতে ঢের দেরি তো খাও শসা। শখ করে কিংবা হেলাফেলা করে যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন, শসা কিন্তু শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, উচ্চরক্তচাপে যারা ভোগেন, শসা তাদের জন্য ভালো ওষুধ।
নিয়মিত শসা খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে আসে। শসা ভিটামিন সি এর খুব ভালো উৎস। শসায় আছে ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফলয়েট, পাচক আঁশ এবং ম্যাগনেসিয়াম। আবার সারা দিনে কাজের চাপে খাওয়া হয়ে ওঠেনি কিছুই। পুরনো সেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথাটা একটু একটু করে জানান দিচ্ছে। এখানেও কিন্তু শসা। গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসারের চিকিৎসায় শসার রস খুব উপকারী।
এতো গেল রোগশোকের কথা। যারা সৌন্দর্য সচেতন, শসা তাদের কাছে বাড়তি কিছু। শসার রসে আছে সিলিকন, যা ত্বকের রং ও স্বাস্থ্য উন্নত করে। তাছাড়া এতে পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক জল থাকায় দেহে জলের মাত্রা বাড়ায়, যা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য খুব জরুরি।
আজ থেকে প্রায় তিন হাজার বছর আগেও রোমান সম্রাটদের পছন্দের তালিকায় ছিল শসা। কথিত আছে যে সম্রাট টাইবেরিয়াস নাকি শসা খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু তখন তো আর সারা বছর মিলত না এই বস্তু। আর তাই সম্রাটের টেবিলে শসার সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সে আমলে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদন করা হতো এই শসা। রোমানরা একটি ঘোড়ার গাড়িতে শসার চাষ করার বুদ্ধি বের করেছিল। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘোড়ার গাড়িটি বাইরে নিয়ে রোদে রাখা হতো। আর সন্ধ্যায় সে গাড়িটি একটি গরম ঘরে রেখে আবৃত করে দেয়া হতো অয়েলক্লথে। বলতে পারেন চাষাবাদের “গ্রিন হাউজ পদ্ধতির” শুরু একরকম সেখান থেকেই।