আ’লীগ-বিএনপিকে প্রতিরোধের ডাক এরশাদের
শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে এসব কথা বলেন এরশাদ।
এরশাদ বলেন, ‘একটি দল জনগণকে জিম্মি করে করে রাজনীতি করতে চায়। তাদের কারণে কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে। মানুষ অনাহারে আছে। সরকার মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এজন্য সরকারকে একদিন জবাবদিহি করতে হবে।’
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ দুই দলের কেউ-ই প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করতে পারবে না। তাদের পরিত্যাগ করুন। শান্তির জন্য পরিবর্তন আনতেই হবে, আনতেই হবে, আনতেই হবে।’
‘মানুষ আজ দুই দলের অপরাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। আমরাও দুই দলের রাজনীতিমুক্ত দেশ চাই।’
২৪ বছর আগে শান্তির জন্য ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন দাবি করে এরশাদ প্রশ্ন রাখেন, এখন কী দেখছি?
জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলের চেয়ারম্যান রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘আর কত লাশ চান? মানুষের জীবন কেড়ে নেবেন না। গুলি ফোটাবেন না। যুবকদের হাতে বোমা তুলে দেবেন না।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে থাকা বিএনপির মধ্যে সংলাপেরও তাগিদ দেন তিনি।
এরশাদ বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, দেশ সহিংসতার দিকে চলে যাচ্ছে। আমি আলোচনার কথা বলছিলাম, আমার কথা কেউ শোনেনি।’‘আসুন আমরা শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করি।’
তিনি বলেন, ‘অবরোধের কারণে দেশের কলকারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছে না। মানুষ দিন দিন বেকার হয়ে যাচ্ছে। দেশের ভেতর অশান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।