শীতে ব্রণ থেকে দূরে থাকুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌন্দর্যের আপেক্ষিকতা ব্যক্তিভেদে ভিন্নতা রূপ পায়। এক্ষেত্রে সময়ও এক জোড়ালো ভূমিকা রাখে বৈকি। তাই বলতেই পারি, সৌন্দর্য আর সময়ের মাঝে যখন মিতালী ঘটে, তখনই তা সময়োপোযোগী সৌন্দর্য হিসেবে গ্রাহ্যতা পায়। কী বলতে চাইছি, তা এবার খুলেই বলি। আমাদের এই ছয় ঋতুর দেশে হরেক রকম বিষয় সময়ভেদে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এই যেমন ধরুন শীতকাল। এ ঋতুতে আমাদের সবদিক থেকেই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয়। যেমন ঘর-বাহির তেমনি শরীর ও মনের। আজ আমরা শীতে ব্রণ সমস্যা থেকে কীভাবে দূরে থাকা যায়, সেদিকে মনোযোগ দেব :
প্রচুর পানি পান করুন:
শীতকালে কম পানি পান করার অভ্যাস অনেকেরই আছে। গ্রীষ্মকালে রোদের প্রচণ্ড তাপে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা কিছুক্ষণ পরপরই পানি পান করি কিন্তু শীতে পানি পান করার কথা যেন আমরা ভুলেই যাই। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শীতে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। তাই শীতেও প্রচুর পানি পান করুন। ত্বক এবং শরীর ভালো রাখার জন্য দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি অবশ্যই পান করা উচিত।
কী দিয়ে মুখ ধোবেন:
এসময় বডি ওয়াশ বা যেকোনো সাবান দিয়ে মুখ না ধোয়াই শ্রেয়। ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ভালো ব্র্যান্ডের অয়েল ফ্রি ক্লিনজার ব্যবহার করুন। গরম পানি দিয়ে ভুলেও মুখ ধোবেন না। মুখ ধোয়ার জন্য সবসময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। সকালে এবং রাতে ফেসওয়াশ দিয়েও ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন।
ময়েশ্চারাইজিং:
অনেকেই ব্রণ উঠেছে বলে ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে ভয় পায়। ফলে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং ব্রণের সমস্যাও কমে না। ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করার জন্য বেবি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। ছোট শিশুদের ত্বকের জন্য তৈরি করা হয় বলে এতে ক্ষতিকর কোনো কেমিক্যাল থাকে না। ফলে আপনার ব্রণ সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয় এই বেবি ক্রিম।
মুখের হাত লাগাবেন না:
শীতে হাত কতটুকু ঠান্ডা হয়ে আছে তা অনুভব করার জন্য কিংবা সামান্য উষ্ণতা পেতে অনেকেই হাত গালে লাগিয়ে রাখে। এতে হাত থেকে জীবাণু ত্বকে লেগে যায় এবং তা থেকে দেখা দেয় ব্রণের উপদ্রব। তাই এই অভ্যাসটা ত্যাগ করার চেষ্টা করা উচিত।
পরিষ্কার রাখুন বালিশের কভার:
ত্বকে ব্রণ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো বালিশের কভার পরিষ্কার না রাখা। চুলের ধুলো-ময়লা বালিশের কভারে লেগে থাকে যা পরবর্তীতে আপনার ত্বকে লেগে যায়। ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একবার বালিশের কভার পরিষ্কার করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি