শীতকাল আমাদের অনেকের কাছেই যেমন প্রিয়, ঠিক তেমনি পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গের কাছেও প্রিয়। আর তাই শীতকাল আসলেই পিঁপড়া, মশা, তেলাপোকা, ইঁদুর এসবের পাশাপাশি আরও অনেক ছোট বড় পোকামাকড় ঘরে আসতে দেখা যায়।
এসব পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ কিন্তু এমনি এমনি ঘরে আসেনা। নিশ্চয়ই কোন কারণে আসে। সেই কারণগুলো জেনে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিলেই আপনার ঘর বা বাসস্থানকে রাখতে পারবেন পোকামাকড় মুক্ত। চলুন তাহলে জেনে নিই-
শীতকাল হচ্ছে স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া ও ধুলাবালি আগমণের সময়। বাইরের ধুলাবালি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে আর সে কারণে ঘরের আসবাবপত্র অল্পতেই ময়লা হয়ে যায়। আর পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গ একটু ময়লা বা স্যাঁতস্যাঁতে অঞ্চল পেলেই সেখানে বাসা বাঁধতে শুরু করে।
তাই ঘরবাড়ি সবসময় পরিস্কার রাখতে চেষ্টা করুন। খাটের নিচে, আলমারি, সোফার পিছনে, ওয়্যার ড্রব এর পিছনে ইত্যাদি আসবাবপত্র চারপাশ ভালভাবে পরিস্কার রাখুন।
ঘরের ঝুল বা মাকড়শার বাসা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। নয়তবা মাকড়শা ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটানোর সুযোগ পায়। অনেকের কাছে মাকড়শা ভীতির কারণও।
ঘর, বারান্দা কিংবা ছাদ যেখানেই গাছ বা গাছের টব থাকুক না কেন তা দিনে নিয়মিত কয়েকবার পরিষ্কার করবেন। কেননা গাছের টবে মশা ও অন্যান্য ছোট ছোট পোকা ডিম পাড়ে। এছাড়া গাড়ির টায়ার, ময়লার ঝুড়ি, খালি বোতল নিয়মিত পরিষ্কার রাখবেন।
আমরা ঘরে সাধারণত এনার্জি সেভিং বাল্ব বা টিউব লাইট ব্যবহার করি। এই বাতিগুলোর আলোর তীব্রতা অনেক বেশি কিন্তু তাপমাত্রা সহনীয় বা তাপরোধী। যার ফলে দেখা যায় বাইরে থেকে নাম না জানা অনেক পোকা এসে সেসব বাতির আশেপাশে বিস্তার লাভ করে।
কোন কোন পোকা থেকে উৎকট গন্ধও বের হয়। সন্ধ্যা হবার সাথে সাথেই ঘরের লাইট জ্বালানো হয় আর পোকাগুলো তখনি আসে। এজন্য আপনাকে টাংস্টেন এর বাতি ব্যবহার করতে হবে।
কেননা টাংস্টেন বাতি অধিক তাপ উৎপন্ন করে, ফলে পোকারা তার আশেপাশে আসতে পারেনা। তবে এটা সবসময় নয়। সন্ধার পরে বেশ কিছুক্ষণ টাংস্টেন বাতি জ্বালিয়ে রাখুন যাতে ঐ সময়টায় পোকারা ঘরে না ঢুকতে পারে।
তারপর অন্য বাতি জ্বালিয়ে দিন। প্রয়োজনে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখতে পারেন। ঘরে পিঁপড়া, ইঁদুর ও তেলাপোকা থাকলে ওষুধ ব্যবহার করুন অথবা প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
শীতে আপনার ঘর বা বাসস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে পোকামাকড় ও বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন