শেরপুরে পিপিকে ‘ঘুষখোর’ বলার মামলায় আ’লীগ নেতার জামিন 

প্রকাশঃ জুলাই ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

শাকিল মুরাদ, শেরপুর:

শেরপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলুকে ‘সেরা ঘুষখোর‘ বলার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী ) আসনে আওয়ামীলীগ থেকে জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা।
সোমবার দুপুরে তিনি জামিনের আবেদন জানালে উভয় পক্ষের শুনানী শেষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তা মঞ্জুর করেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জেলা শহরের রঘুনাথবাজার মোড়ে আওয়ামী লীগের এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা তার বক্তব্যে, নালিতাবাড়ীর এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলুকে জেলা আওয়ামী লীগে স্থান না দেওয়াটা ভালো হয়েছে বলে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপির দায়িত্বের নামে জেলায় ‘সেরা ঘুষখোর’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। এজন্য স্পেশাল পিপির পদ থেকেও তাকে অপসারণ করা প্রয়োজন।’
তার ঐ বক্তব্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রচার হওয়ায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাগত ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের অভিযোগ তুলে ৮ ফেব্রুয়ারি শেরপুর সদর আমলী আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন স্পেশাল পিপি এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু।
কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা জামিন পাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী) আসন থেকে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে কিছু কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আর ইশাল্লাহ আদালতে প্রমাণ করবো স্পেশাল পিপি একজন ‘সেরা ঘুষখোর’।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট একেএম মোছাদ্দেক ফেরদৌস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ নূরানী মনি, নালিতাবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলামসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G