সন্তানের মুখ দেখা হলো না

প্রকাশঃ জুলাই ২, ২০১৬ সময়ঃ ১২:২১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:২৫ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

photo-1467407561রাজধানীর গুলশানে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বাংলাদেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুজন সদস্য। এই ২ সদস্যের একজন ডিবির সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম এবং আরেকজন বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দীন আহমদ খান। রবিউল ইসলাম কয়েকদিন পরই সন্তানের বাবা হতেন।

শুক্রবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ৮ থেকে ১০ জন যুবক অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর তারা ওই রেস্তোরাঁয় থাকা লোকজনকে জিম্মি করে।

রেস্তেরাঁয় গোলাগুলিতে আহত রবিউল ইসলামকে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহত হওয়ার খবর পেয়ে সাভার থেকে রওনা দেন তার পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে ছিলেন রবিউলের ৭ বছরের সন্তান ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। কিন্তু মাঝপথেই তাদের কাছে রবিউলের মৃত্যুর খবর আসে। দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান রবিউল।

রবিউলের মামা নুরুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশের যোগ দেয় রবিউল। তাদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কাটিবাড়ি। তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের মাদক উদ্ধার টিমে কর্মরত ছিলেন।

এ দিকে নিহত ওসি সালাহউদ্দীন আহমদ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জে। অভিযানের শুরুর দিকেই তিনি সন্ত্রাসীদের ধরতে এগিয়ে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁর একেবারে কাছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাহউদ্দীন মারা যান।

সালাহউদ্দীন এর আগে রাজধানীর সূত্রাপুর, কোতোয়ালী, মিরপুরসহ বেশকটি থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G