সন্ধান মিললো আরেকটি ‘পৃথিবী’র
প্রযুক্তি ডেস্ক
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা‘পৃথিবীর মতো’আরেকটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করছে। বৃহস্পতিবার নাসার বিজ্ঞানীরা নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটিও সূর্যের মতো একটি নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরছে বলে জানিয়েছেন। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
পৃথিবী থেকে ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্রহটি নাসার কেপলার টেলিস্কোপে ধরা পড়ে। টেলিস্কোপের নামানুসারে এই গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে কেপলার-৪৫২বি। নতুন আবিষ্কৃত এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে ৬০ শতাংশ বড়।
গ্রহটি যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে তার আকার ও তাপমাত্রা সূর্যের মতোই। তবে সূর্যের চেয়ে বয়সে বেশ বড়।সূর্যের বয়স যেখানে আনুমানিক ৪৬০ কোটি বছর সেখানে ওই নক্ষত্রটির বয়স আনুমানিক ৬০০ কোটি বছর। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর লাগে প্রায় ৩৬৫ দিন। অপরদিকে কেপলার-৪৫২বি ওই নক্ষত্রটিকে ৩৮৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে।
নতুন আবিষ্কৃত গ্রহটির চলাফেরা যখন পৃথিবীর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে তখন এতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, এই জিজ্ঞাসা ঘুরে ফিরছে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মনেও। ক্যালিফোর্নিয়ার মফেট ফিল্ডের এমেস রিসার্চ সেন্টারের নভোচারী জন জেনকিসন বলেন, ‘এটা বিবেচনার সময় এসেছে যে, গ্রহটির ভূখণ্ড বা সমুদ্রভাগে কোনো প্রাণ বা প্রাণ সঞ্চারণকারী বস্তুর অস্তিত্ব আছে কি না।’
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রহটির ভূখণ্ডের তাপমাত্রা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তা তরল পানির উপযোগী। তবে তা প্রাণের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাণের অস্তিত্ব থাক বা না থাক পৃথিবী সদৃশ নতুন গ্রহ আবিষ্কারকেই ‘বিরাট অর্জন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউ এর সিতি ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জড়িত কেপলারের বিজ্ঞানী জেফ কফলিন।
আরেকটি বিষয় হলো, কেপলার টেলিস্কোপের মাধ্যমে সরাসরি কোনো গ্রহ দেখা যায় না। নক্ষত্রগুলো থেকে আসা আলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির