সবুজ গাছের ছায়ায় আটঘর কুরিয়ানা
ফারজানা ওয়াহিদ
সবুজ গাছের ছায়ায় আছে এক শ্যামল পরিবেশ। সোনার বাংলার নানান পাখি, নানান মধুর সুর, পাহাড়, নদীর পানি দেখতে কি সুন্দর। আপনারা হয়তো ভেনিসের গল্প শুনেছেন। থাইল্যাণ্ড-এর ফ্লোটিং মার্কেটের ছবি দেখেছেন। আবার অনেকে কেরালার ছোট ছোট নৌকায় করে এলাকাবাসীর ভ্রমণ আর জীবনযাপনের গল্পও শুনেছেন। কিন্তু ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া’ এই কবিতার মতো অবস্থা, নিজের দেশের ভাসমান বাজারের কথাই শোনেন নি অনেকে।
আটঘর কুরিয়ানা। নামটা শুনতে কেমন মনে হলেও জায়গাটা সত্যি অনেক মজার। সবুজ গাছ-গাছালির পেট চিড়ে বয়ে গেছে ছবির মতো নদী। যে নদীর বুকে ভাসমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফলের বাজার।
এখন বর্ষাকাল শেষ হলেও বৃষ্টি শেষ হয়নি। এখনই উপযুক্ত সময় এই ভাসমান বাজারে ভেসে ভেসে বেড়ানোর। এ সময় দেশের বৃহত্তর পেয়ারার বাজার এসে বসে এই ভাসমান অঞ্চলে। ফলে বেড়ানোর পাশাপাশি রসনার তৃষ্ণাও মিটবে বেশ।
গ্রামবাংলার সাধারণ এই গ্রামটি কিভাবে এতো অপরূপ হয়ে যায় বর্ষায় তা ভাষায় প্রকাশ করা আসলেই সম্ভব নয়। ভ্রমণ পিয়াসী সকলের কাছে অনুরোধ লঞ্চ ভ্রমণে আপত্তি না থাকলে এখনি উপযুক্ত সময় নিজের দেশের এই চমৎকার দৃশ্য উপভোগের। আর অবশ্যই সচেতন থাকবেন যেন আপনার ভ্রমণে প্রকৃতি দুঃখ না পায়। পানিতে বর্জ্য, পলিথিনের প্যাকেট,ড্রিংকস-এর বোতল ফেলা থেকে বিরত থাকুন। নিজের দেশকে সুন্দর রাখুন। আমাদের সকলের ইচ্ছা এবং অবদান থাকলে হয়তো এখানেও গড়ে উঠতে পারে কেরালা বা কাশ্মীরের মতোন আকর্ষণীয় একটি পর্যটন কেন্দ্র।
দুই ভাবে যাওয়া যায় আটঘর কুরিয়ানায়। ঢাকা থেকে বরিশাল হয়ে আটঘর কুরিয়ানা ও ঢাকা থেকে স্বরূপকাঠি হয়ে আটঘর কুরিয়ানা। ঢাকা থেকে প্রতিদিনই বরিশাল ও স্বরূপকাঠিতে লঞ্চ যায়। লঞ্চের ডেক ক্লাস ভাড়া, বরিশাল-স্বরূপকাঠি ২০০-২৩০টাকা, সিঙ্গেল কেবিন (নন এসি) ৯০০ টাকা, ডবল ১৮০০ টাকা। বরিশাল নেমে ঘাট থেকে মহেন্দ্র গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়া যায়। গাড়ি ভাড়া রিজার্ভ ৩০০ টাকা। সবচেয়ে ভাল হবে স্বরূপকাঠি নামলে। সেখান থেকে ট্রলারে সরাসরি আটঘর কুরিয়ানা সারাদিন ঘুরতে পারবেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে