সরকারকে সহনশীল হতে বললেন সুরঞ্জিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের মামলা অবিলম্বে তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘মান যায় মন্ত্রীর (স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন) আর মামলা করে চেরাগ আলী।’বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার প্রাণ সংশয় বলে পুলিশের কাছে সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের যখন কোনো সহায়তা প্রবীর সিকদার পাননি, তখনই তিনি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে নাকি একজন মন্ত্রীর মান গিয়েছে। মান যায় মন্ত্রীর আর মামলা করে চেরাখালী। আরে চেরাগ আলী তুমি তো সরকারের লোক, তুমি কেন যাবে। আর তার বিরুদ্ধে মামলা হলো ১১টায়। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো ৬টায়। এর মানে শত্রুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া। সুতরাং আমরা এটা আশা করিনি।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন অত্যান্ত উচ্চশিক্ষিত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের। আর তার প্রতিপক্ষ হলেন পা হারানো সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। যারা প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারা অতি উৎসাহের দল। কাউকে ধরে আনতে বললে বাইন্ধা নিয়া আসে। একজন প্রবীন সাংবাদিক তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাবে তার নিজের সরকার! সেতো আমাদের জন্যই পা হারিয়েছেন। তাকে দমানো যাবে না। কারণ একাত্তরে তিনি পরিবারের ১৪ জন লোক হারিয়েছেন। একে আটকানো যাবে না। আশা করি এর একটি নিস্পত্তি হবে যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।’
সরকারকে আরো বেশি সহনশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, ‘ক্ষমতার দম্ভ ও অহঙ্কার আসলে সেই ক্ষমতা পরিমার্জিত হয়। ক্ষমতা মানে চাটুকারিতা, দম্ভ, তোষামোদী নয়। শুনেছি প্রবীর সিকদারের জামিন হয়েছে। তাই বিষয়টি নিজেদের মধ্যে সুরাহা হাওয়া উচিৎ। সুতরাং আমরা বিষয়টির সমাধান চাই।
সংগঠনের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদ নারায়ণ দেবনাথের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদ ইসকেন্দার মির্জা শামীম, আসাদুজ্জামান দুর্জয়, সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ