সরকারি চাকুরেদের নতুন বেতনকাঠামো প্রস্তাবে পরিবর্তণ

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ৩:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১১ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম.

16066908862_9ef0ea17f4_bসরকারি চাকুরেদের নতুন বেতনকাঠামো পরিবর্তণে বা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশে পরিবর্তণ আসতে পারে। কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞার নেতৃত্বাধীন গঠিত পর্যালোচনা কমিটি সূত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে।সূত্র মতে, কমিশন টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের সুপারিশ করলেও বাস্তবে তা থাকছে। আবার নিচের দিকে কয়েকটি ধাপে (গ্রেড) কমিশন বেতন-ভাতার যে সুপারিশ করেছে, তা কিছুটা বাড়তে পারে।

এদিকে কমিটি তার প্রতিবেদন তৈরি করতে তিন দফা সময় পেয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবেন সংসদে। কমিটি এর ঠিক দুই সপ্তাহ আগে প্রতিবেদন তৈরি করবে।
বেতন ও চাকরি কমিশন গত ২১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর ৩১ ডিসেম্বর কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়।
কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে এ কমিটিকে সময় দেওয়া হয় ছয় সপ্তাহ। নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কয়েকটি বৈঠক করলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটি প্রতিবেদন আর তৈরি করতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় চার সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়, তাতেও তৈরি হয়নি প্রতিবেদন।
এ কাজে তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয় আট সপ্তাহ সময়। গত ২৫ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, বেতন ও চাকরি কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনা-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আট সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে প্রতিবেদন তৈরির শেষ সময় আগামী ২৫ মে।
বিদ্যমান বেতনকাঠামোতে ২০টি ধাপ রয়েছে। ফরাসউদ্দিন কমিশন তা কমিয়ে ১৬ ধাপের সুপারিশ করেছে। তবে প্রথম থেকে দশম ধাপ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের জন্য যত শতাংশ বেতন-ভাতা বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে, এর পরের ধাপগুলোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে তুলনায় তার চেয়ে কম।
জানা গেছে, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিলের জন্য কমিশন যে সুপারিশ করেছে, তা আমলে নিচ্ছে না পর্যালোচনা কমিটি। কমিশনের প্রস্তাবে রয়েছে, এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে যেতে হবে পদোন্নতির মাধ্যমে। পঞ্চম থেকে ষষ্ঠদশ ধাপের জন্য বছরে চক্রবৃদ্ধি হারে ৫ শতাংশ এবং দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ ধাপের জন্য ৪ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিশন।
পর্যালোচনা কমিটির একটি সূত্র জানায়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টসহ অনেক পদ রয়েছে, যেগুলো ব্লক পোস্ট অর্থাৎ পদোন্নতির সুযোগ নেই। পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি না করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রথা বাতিল করা ঠিক হবে না।
সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, সব কমিশনই কর্মচারীদের প্রতি অবহেলা দেখায়, এবারের কমিশনও দেখিয়েছে। অথচ কর্মচারীরাই মোট সরকারি চাকরিজীবীর ৬০ শতাংশ।
ফরাসউদ্দিন কমিশনের সুপারিশ বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্ষেত্রে এক ধাপ থেকে আরেক ধাপে মূল বেতনের পার্থক্য মাত্র ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা, যা বিস্ময়কর ও দুঃখজনক। অথচ কর্মকর্তা অর্থাৎ ওপরের ধাপগুলোতে একটি থেকে আরেকটির পার্থক্য ৭ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত।’

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G