সরকারি মুদ্রা হচ্ছে ৫ টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার পাঁচ টাকার কয়েনকে সরকারি মুদ্রা ঘোষণা করতে বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার-১৯৭২ সংশোধন বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। দুই টাকার কয়েনের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় কারণে সরকার এই বিল উত্থাপন করেন।
মঙ্গলবার রাতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিলটি উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৯৭২ সালের দ্য বাংলাদেশ কয়েনজ অর্ডার ১৯৮৯ সালে সংশোধন করে দুই টাকাকে সরকারি মুদ্রা করা হয়। এর আগে সর্বোচ্চ এক টাকার মুদ্রা সরকারি মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ছিল।
এরই মধ্যে ২৬ বছর অতিবাহিত হয়েছে। দুই টাকার ক্রয়ক্ষমতা আগের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে বর্তমানে আইনের অধিকতর সংশোধনের মাধ্যমে পাঁচ টাকার নোটকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মোট অর্থের যোগান অপরিবর্তিত থাকবে। এ কারণে মুল্যস্ফীতিজনিত প্রভাব হবে না।
বিলে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪-৭৫ সালে বাজারে প্রচলিত মোট অর্থের মধ্যে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ ছিল ১০.৭০ শতাংশ, ২০১৩-১৪ অর্থবছর শেষে যা .৯০ শতাংশে নেমে এসেছে। পাঁচ টাকা মূল্যমানের নোট ও কয়েনগুলোকে সরকারি মুদ্রায় রূপান্তর করা হলে সরকারি মুদ্রার পরিমাণ বাজারে প্রচলিত মোট মুদ্রার ১.৫০ শতাংশে উন্নীত হবে।
এছাড়া ট্রেড মার্ক আইন ২০০৯ এর সংশোধন কল্পে ‘ট্রেডমার্ক (সংশোধন) আইন- ২০১৫ বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এই বিল উত্থাপন করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ