সর্তকতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার
নানাবিধ সিকিউরিটিজ আইনের ফলে বর্তমানে কুচক্রী মহলের তৎপরতা নেই। সামগ্রিক চিত্র দেখে মনে হয় বিনিয়োগকারীরা জেনে বুঝেই ইনভেস্ট করতে পারছে। যা বাজারের জন্য মঙ্গলজনক। পাশাপাশি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার কারণে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন কোম্পানির আয়ের তথ্য ও লভ্যাংশ। মুলত যেসব কোম্পানির ডিসেম্বর ক্লোজিং সেসব তাদেরই পুরো বছরের আয়ের তথ্য, লভ্যাংশ ও সম্পদের হিসেব নিকেশ নিয়ে আসছে। এসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাজার প্রভাবিত হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকের উত্থান লেনদেন। এদিন শুরু থেকেই ক্রয় চাপে বাড়তে থাকে সূচক। বুধবার লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘন্টায় সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশীরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার অংকে লেনদেনে রয়েছে আগের দিনের তুলনায় কিছুটা ধীর গতি। আলোচিত সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আজ দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্টে বেড়ে অবস্থান করছে ৫৬২৫ পয়েন্টে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৩১০ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২০৩১ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টি, দর কমেছে ১০৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এ সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৪ লাখ ১৯ হাজার টাকা।
এর আগের কার্যদিবস অর্থাৎ সোমবার দুপুর ১২টায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্স ০.৯ পয়েন্টে বেড়ে অবস্থান করে ৫৬২১ পয়েন্টে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ০.৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ১৩০৮ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ২০২৭ পয়েন্টে। সে সময় টাকার অংকে লেনদেন হয়েছিলো ৫৯১ কোটি ৬০ লাখ ১৬ হাজার টাকা।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২ টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১০ হাজার ৫৭২ পয়েন্টে। এ সময় লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, দর কমেছে ৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর। যা টাকার অংকে ২১ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাহা