সহিংসতা, গুম-গ্রেপ্তার বন্ধ করুন

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৫ সময়ঃ ১:২০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম :

ইউম্যানবাংলাদেশ সরকারকে সবার মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং স্বেচ্ছাচারী শক্তি প্রয়োগ, গ্রেপ্তার এবং গুম বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

শনিবার এক বিবৃতিতে নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত সহিংসতা এবং অন্যান্য দমনপীড়নের অবসানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক মাসে ৬০ জনের মত লোক নিহত, শত শত লোক আহত এবং হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব রাজনৈতিক নেতার উচিত স্পষ্ট বিবৃতি দেয়া যে তাদের অনুসারীরা যেন অবৈধ সহিংসতায় না জড়ায়।
এইচআরডব্লিউর এশিয়া ডিরেক্টর ব্রাড অ্যাডামস বলেন, ‘সহিংস অপরাধ চক্র বন্ধে সব দলের উচিত সহযোগিতা করা এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করা। বিরোধী দলের কিছু লোক সহিংস অপরাধে জড়িত বলে সরকারের হত্যাযজ্ঞ, আহত করা এবং অন্যায় গ্রেপ্তার ন্যায়সংগত হতে পারে না।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে ঘিরে সহিংসতায় ৫০০ এর বেশি লোক নিহত হয়েছে। তখন সরকার নির্বিচারে গ্রেপ্তার, হত্যা ও গুমের মাধ্যমে সহিংসতা বন্ধের চেষ্টা করে। বর্তমানে আবার একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সহিংসতায় অন্যতম ভয়ঙ্গর সংযোজন হচ্ছে পেট্রোল বোমা। এ সময় বিরোধী দলের হাতে ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

তবে এ ঘটনায় এক দল আরেক দলকে দায়ী করছে জানিয়ে বিবৃবিতে বলা হয়, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেছেন, এজন্য সর্বাংশে আওয়ামী লীগ দায়ী যদিও এসব হামলায় তার দলের সদস্যতের জড়িত থাকার ‘বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ’ রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রায় ১৭ জন লোক নিহত হয়েছে। এর কোনোটির ক্ষেত্রে পুলিশ বন্দুকযুদ্ধের কথা বলছে আবার অন্য ক্ষেত্রে লাশ উদ্ধারের দাবি করছে। তবে পরিবারের লোকজন বলছে, নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতেই তারা নিহত হয়েছেন। সরকার দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার জামায়াতে ইসলামীর বেশ কিছু নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। ভারতেও উচিত নিপীড়ন বন্ধের আহবান জানানো। কারণ বাংলাদেশের দলগুলো ভারতের কথায় গুরুত্ব দেয়।

অ্যাডামস বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নিপীড়ন চলছে তাতে বিশ্ব নীরব থাকতে পারে না। রাজনৈতিক নেতাদের কড়া ভাষায় বলে দেয়া দরকার যে এই রক্তপাত বন্ধ না হলে অন্য দেশের সাথে তাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/কাফি উল্লা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G