রায় ফাঁসের ঘটনায় পিছিয়েছে সাকার মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের ঘটনার মামলায় চার্জগঠনের শুনানির দিন ফের একই অজুহাতে পিছিয়ে গেলো। সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরীর অসুস্থতার কথা বলে সোমবার সময় চেয়ে আবেদন করলে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম শামসুল আলম তা মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২০ সেপ্টেম্বর নতুন দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল ও ১০ জুন ওই একই আসামির একই অজুহাতে করা সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আজ সোমবার নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গত ১২ মার্চও একই আসামির জন্য একই অজুহাতে সময়ের আবেদন করা হলে ট্রাইব্যুনালের নিয়মিত বিচারক এসএম সামছুল আলম ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারিও একই আসামির অসুস্থতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার শুনানিকালে জেলহাজতে থাকা আসামি ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ, মাহবুবুল আহসান ও নয়ন আলীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরীও।
এ সময় মাহবুবুল আহসান পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন। এছাড়া মামলার অপর আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী জামিনে আছেন। ফলে আলোচিত এ মামলায় অভিযোগ গঠন পঞ্চমবারের মতো পিছিয়ে গেল। এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ওই মামলায় গত বছর ২৮ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির ইন্সপেক্টর মো. শাহজাহান।
রায় ফাঁসের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী কর্মচারী নয়ন আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে ব্যারিস্টার ফখরুল ও ওই ট্রাইব্যুনালের অফিস সহকারী ফারুক আহমেদ জড়িত বলে উল্লেখ করেন। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত বছর ২০ নভেম্বর রাজধানীর সেগুনবাগিচায় তার চেম্বার থেকে গ্রেপ্তার হন ব্যারিস্টার ফখরুল। এরপর ২৪ নভেম্বর তার জামিন নামঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। যদিও পরে ওই রিমান্ড বাতিল করেন হাইকোর্ট।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায় ঘোষণার আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ওই বছরের ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন আলী ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেন ওই বছর ১০ অক্টোবর এবং ১৩ অক্টোবর ফারুক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/সজল