সিরাজগঞ্জে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৮, ২০২২ সময়ঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

পুরো বাংলাদেশ জুড়েই এখন নিরপেক্ষ ভোটের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। এরই জের ধরে আজ সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় শুক্রবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষে ৬ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামতাইল রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদসহ ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে সহকারী পুলিশ সুপার (কামারখন্দ সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ এবং কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুন্নবী প্রধান রয়েছেন। সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান মিডিয়া জানিয়েছেন,  ‘৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে কামারখন্দে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে আমরা রেলস্টেশন এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রুমানা মাহমুদের গাড়ি ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। আমরা হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করলে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রুমানা মাহমুদ, আমিসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হই ‘

তবে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিএনপির সমাবেশে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেন,“আমাদের ১৪-১৫ নেতাকর্মী জামতাইল বাজার থেকে ফিরছিলেন। এখানে বিএনপির দুটি উপদল রয়েছে। জামতাইল রেলস্টেশন এলাকায় বিএনপির লোকজন প্রথমে দলগত সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং পরে কোনো উসকানি ছাড়াই আওয়ামী লীগের ৬-৭ জন লোকের ওপর হামলা চালায়।

ওসি নুরুন্নবী প্রধান বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হামলা চালায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিপথগামী গুলি চালাতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে পুলিশের এএসপি আদনান মুস্তাফিজ বলেন, “বিএনপি কর্মীরা কর্মসূচি শেষে জামতৈল রেলস্টেশন এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকান ও মোটরবাইক ভাংচুর করে। আমরা বিএনপির ভাংচুর ঠেকানোর চেষ্টা করলে বিএনপির লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের সঙ্গে ধারালো অস্ত্রও ছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদনান মুস্তাফিজ।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G