সুস্থ থাকতে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ জেনে নিন
কার্ডিওলজিস্টগন বলেন, ‘হার্ট অ্যাটাকের প্রায় ১ মাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ছোটো ছোটো শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়’। কোনো কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেয়ার সমস্যা শুরুর ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাস ছোটো হয়ে আসা প্রধান লক্ষণ যে আপনার হৃদপিণ্ডের প্রয়োজন বিশ্রামের।
২) অতিরিক্ত ঘাম হওয়া (দিন ও রাত)
হুট করেই অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে সে ব্যাপারটি অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হার্টের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এতে করে অনেক চাপ পড়ে থাকে যার ফলে ঘামের সৃষ্টি হয়। এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এইধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম।
৩) হজমে সমস্যা, মাথা ঘোরানো এবং বমি
গবেষণায় দেখা যায় হার্ট অ্যাটাকের কিছু পূর্ব থেকে অনেকেই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যায় পড়ে থাকেন। এছাড়াও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা যা আমরা অনেক স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে থাকি তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। এর পাশাপাশি হুট করে কোনো কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি ভাব হওয়া এবং বমি করার বিষয়গুলো অবহেলা করবেন না।
৪) বুকে ব্যথা, চাপ অনুভব করা এবং অস্বস্তিবোধ
অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এসকল ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। অনেকের কাছে মনে হবে বুকে অনেক ভারী কিছু চেপে বসে আছে এবং সেই সাথে শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। এসকল ব্যাপার নজরে পড়লে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
৫) দেহের অন্যান্য অঙ্গে ব্যথা অনুভব
শুধু বুকে ব্যথাই নয় দেহের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করার বিষয়টিও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।