সোনামণির ত্বকের যত্নে

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

childআপনি আপনার ছোট্ট সন্তানের ত্বক নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। আপনার সোনামণিকে ছোটবেলা থেকেই স্বাস্থবান হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তাই বড়দের পাশাপাশি বাচ্চাদের ত্বকের যত্নেও আপনি উদাসীন নন।

বড়দের চেয়ে বাচ্চাদের ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল তাই প্রয়োজন কিছু বাড়তি যত্ন। আবহওয়ার তারতম্যের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতাও তাদের সীমিত। তাই একটু এদিক-সেদিক হলেই এই শীতে ত্বক হয়ে যেতে পারে শুষ্ক।

চলুন তাহলে জেনে নেই শিশুর ত্বকের যত্নে কি করবেন।

শিশুর ত্বকের যত্ন:

১. খুব হালকা গরম পানি দিয়ে বাচ্চার ত্বক পরিষ্কার করা সব থেকে উত্তম। সাবান ত্বক শুষ্ক করে ফেলে তাই গন্ধহীন কোনো বাথ ওয়েল পানি যোগ করে বাচ্চাকে স্নান করান তাহলে বাচ্চার ত্বক নরম থাকবে। যেসব সাবানে প্রচুর ফেনা সৃষ্টি হয় সেসব সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ তা বাচ্চার ত্বক থেকে ন্যাচারাল ওয়েল শুষে নেয়। তাছাড়া অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল বা সুগন্ধীযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

২. স্নান করার পর বাচ্চার শরীর ভালো করে মুছে ফেলতে হবে যাতে কোথাও পানি না থাকে। তারপর একটা ভালোমানের ময়েশ্চারাইজার সারা গায়ে আলতো করে লাগিয়ে দিন। সোনামণির ত্বক যদি খুব শুষ্ক বা ত্বকের যদি কোনো সমস্যা থাকে যেমন একজিমা তাহলে সাবান পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে শুধু ময়েশ্চারাইজার লাগান।

৩. শীতকালে প্রতিদিন স্নান করানোর প্রয়োজন নেই। কারণ শীত এমনিতেই মুখের আর্দ্রতা কেড়ে নিয়ে ত্বক শুষ্ক করে তোলে, তাই প্রয়োজন হলে দিনে ২-৩ বার ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। ত্বক আমাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডায় এ নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ভেঙে পড়ে। তাই গরমে হালকা ঢিলেঢালা সুতি বা সিন্থেটিক/সুতি কাপড় পরানো উচিত।

৪. আর শীতে কোনো গরম কাপড় যেমন উলের তৈরি কিছু পরালে তার নিচে সুতির কিছু পরিয়ে নিতে হবে না হলে বাচ্চার চুলকানি হতে পারে। খুব ঠাণ্ডায় বাচ্চাদের হাত বা পায়ের পাতা নীলাভ দেখায় তবে এটা কোনো বড় সমস্যা নয়। অনাবৃত জায়গাগুলো ঢেকে দিন তাহলেই দেখবেন নীলাভ ভাব চলে যাবে।

৫. গরমের দিনে সোনামণিকে নিয়ে বাইরে যাওয়ার আগে আরামদায়ক কিছু পরিয়ে নিন সঙ্গে টুপি, সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না। অল্প পরিমাণে সানস্ক্রিন SPF-অনাবৃত অংশ যেমন মুখ, পায়ের পাতা, হাতে লাগিয়ে দিন।

৬. বাচ্চাদের ন্যাপি বারবার পরিবর্তন করুন। প্লাস্টিক ওভার প্যান্ট পরিহার করুন। ভালোমানের ন্যাপকিন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

৭. ছোট্ট সোনামণির চুলের যত্নে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। আর করলেও খুব মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বাচ্চার চুলের রঙ নিয়ে টেনশন করবেন না। হোক না তা লালচে বা বাদামি। সাধারণত ৮ বছরের মধ্যে চুলের রঙ স্বাভাবিক হয়ে যায়।

৮. ছোটো বাচ্চার নখ খুবই পাতলা, তাই প্রথম কয়েক মাস তা কাটার প্রয়োজন নেই। নবজাতকের নখ চামচ বা সমতল আকৃতির হতে পারে কিন্তু ৩-৪ বছরের মধ্যে তা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

প্রতিক্ষণ/এডি/শিমু

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G