স্টার জলসা দেখতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
ভারতীয় টিভি চ্যানেল ‘স্টার জলসা’ দেখতে না দেয়ায় অভিমান করে নাটোরে স্বর্ণা (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।
রোববার রাতে আত্মহত্যা করা স্বর্ণাকে সোমবার দুপুরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্বর্না বড়াইগ্রাম উপজেলার আগ্রাণ গ্রামের অহিদুল ইসলামের মেয়ে ও আগ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত সাড়ে আটটায় স্বর্ণা খাতুন নিজ বাড়ির টেলিভিশনে স্টার জলসা চ্যানেলে নাটক দেখছিল। এ সময় তার পিতা অহিদুল ইসলাম তাকে ওই চ্যানেল না দেখে অন্য চ্যানেল দেখার জন্য বলেন।
বার বার বলার পরও সে ওই চ্যানেল দেখতে থাকলে তাকে গালমন্দ করা হয়। অভিমান করে সে টেলিভিশন বন্ধ করে পড়ার কথা বলে পাশের ঘরে যায়।
আধঘণ্টা পরও তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে মা নাছিমা বেগম তার ঘরে গিয়ে তাকে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঝুলতে দেখেন। তার চিৎকারে পরিবারের অন্যান্য লোকজন ছুটে এসে ঘরের তীর থেকে তাকে নামিয়ে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় সে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।
মা নাছিমা বেগম বলেন, ‘আমরা ভাবছিলাম স্বর্ণা টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে ওই ঘরে পড়ালেখা করছে। ভাবতেও পারিনি সে ফাঁস দিয়ে মারা যাবে।’
খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে স্বর্ণার লাশের সুরতহাল করেন। তবে পরিবারের অনুরোধে ও কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই সোমবার দুপুরে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বড়াইগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কেউ কোনো অভিযোগ না করায় স্বর্ণার লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
নিহত স্বর্ণার বোন হালিমা খাতুন জানান, স্বর্ণা প্রায় সময় স্টার জলসা চ্যানেলে ধারাবাহিক নাটক দেখতো। এ কারণে সে পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ে। রোববার রাতে বাবা রাগ করেই স্টার জলসা দেখা বন্ধ করে দেন।
প্রতিক্ষণ /এডি/আদিল