ক্রীড়া ডেস্ক
ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে দূরস্ত বিস্তর। তাই বোধ হয় ফলাফলও হলো আকাশ-পাতাল ব্যবধান ৭-০। কাতার বিশ্বকাপে এবার বোধ করি এটাই সর্বোচ্চ গোলের ব্যবধানে কোন দলের বিপক্ষে জয়। স্পেনের আজকের ম্যাচের গল্পটাই বলছি। ফিফার তালিকার ৭ নম্বরের দল স্পেন কোন রকম সুযোগই দেয়নি ৩১ নম্বরে থাকা কোষ্টারিকাকে। ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছে স্পেন। পুরো ম্যাচে জুড়ে কোষ্টারিকার উপস্থিতি বোঝাই ছিল দায়।
সহজ ভাষায় স্পেনের ঝড়ে কোষ্টারিকার জাহাজ ডুবে গেছে। যদিও অনেকেই প্রত্যাশা করছিল সৌদি, জাপানের মতো হয়তো কোষ্টারিকা কিছু ঘটিয়ে ফেলতে পারে। সেটা হয়নি স্পেনের দুর্দান্ত আক্রমণ ভাগের ফিনিংস আর রক্ষণ ভাগের দেয়াল অটুট থাকায়।
ম্যাচের ১১ মিনিটে স্পেন গোল উৎসব শুরু করছে। সেটা শেষ হয় ৯০ মিনিটের ম্যাচের পর অতিরিক্ত সময়ে। ১১ মিনিটে ড্যানি ওলমো জটলা মধ্যে বল পেয়ে কোষ্টারিকার গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোল আদায় করে নেন (১-০)।
ম্যাচের ২১ মিনিটে ১০ নম্বর জার্সিধারি মার্কো সেই জটলা থেকেই স্পেনকে দ্বিতীয় গোলের লিড এনে নিলেন (২-০)। তবে তৃতীয় গোলটি আসে কোষ্টারিকার ভূলে, ব্যাকট্যাকেলের কারণে রেফারি পেনাল্টির ঘোষণা দিলেন। ৩১ মিনিটে ফিরান টরিস পেনাল্টি মিস করলে না (৩-০)। ৩ গোলে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে স্পেন।
স্পেনের ম্যাচে ৪র্থ গোলটা সত্য বলতে সেরা গোল ছিল। এবারও সেই ফিরান টরিস, কোষ্টারিকার ডান প্রান্ত দিয়ে স্পেনের আকমণে থেকে বল চলে চিপ করলে গোল পোষ্টের সামনে গিয়ে পড়ে। গোলরক্ষক আর ডিফেন্সের দুই জন থাকার পরও বল নিয়েন্ত্রণে নিয়ে কাটিয়ে পেছন দিয়ে ঘুরে কিক নিয়ে বল জালে পাঠালেন ফিরান টরিস (৪-০)।
আর ৫ম গোলটি কোষ্টারিকার গোলরক্ষকের হাত ফস্কে চলে যায়, কোষ্টারিকার ছোট ডি বক্সের সামনেই দাঁড়ানো ছিল মিডফিল্ডার জাভি। বলে কিক নিতে আর বল জাল স্পর্শ করাতে মিস করলেন না জাভি (৫-০)। গোলের সংখ্যাটা ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের সময় বাড়িয়ে দিলেন কার্লোস সোলার (৬-০)। আর অতিরিক্ত ৭ মিনিটের মধ্যে ২ মিনিটেই মানে ৯২ মিনিটে অ্যালভারো মোরাটার দেয়া গোলে স্পেন পৌছে গেল ৭-০ ব্যবধানে।