স্বাবলম্বী ফেরদৌসী বেগম
নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল তার কৈশোর বয়স থেকে। স্বপ্নপূরণের সুযোগটা যখন পেলেন তখন আর হাতছাড়া করলেন না। একটু অন্যরকম কাজ রেশম চাষে জড়ালেন নিজেকে এবং হয়ে উঠলেন সাফল্যের প্রতীক।
তিনি স্থানীয় বেতছড়ির বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম। জানান, ২০ বছর আগে প্রথম রেশম চাষ শুরু করেন তিনি। তখনও এলাকায় কোন মেয়ে এই কাজে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু তিনি ভীষণ উৎসাহ নিয়ে কাজ শুরু করেন।
কয়েক বছর পর ব্যাপক সাফল্য পান। ফলে মেয়ে ফরিদা পারভিনকেও রেশম চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। ফরিদা গত আট বছর ধরে এলাকায় রেশম চাষ করছেন।
ফরিদা তার ছোট বোন শাহানা আক্তারসহ এলাকায় শতাধিক নারীকে রেশম চাষে উদ্বুদ্ধ করেন। বর্তমানে কাউখালীতে চার শতাধিক নারী রেশম চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় রেশম চাষে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন উপজেলার মহিলা রেশম চাষিরা। উপজেলার ঘরে ঘরে মহিলারা রেশম চাষের সঙ্গে জড়িত। কাপ্তাইয়ের আঞ্চলিক রেশম গবেষণাকেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ নিয়ে স্থানীয় মহিলারা রেশম চাষ করছেন এবং সফলতা পাচ্ছেন। দৈনন্দিন পারিবারিক কাজ-কর্ম করার পাশাপাশি মহিলারা বাড়ির আঙ্গিনায়, কেউ কেউ বাড়ির ঘরের মধ্যেও রেশম চাষ করছেন।
আর এতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে আঞ্চলিক রেশম গবেষণাকেন্দ্র। অনেক মহিলা এখন তাদের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছেন রেশম চাষ করে। শিরিনা বেগম জানান, তার কাছে বর্তমানে ৫০ হাজার টাকা জমা আছে। যা তিনি রেশম চাষ থেকে আয় করেছেন। এ রকম প্রায় প্রতিটি নারী তাদের সফলতার কথা জানান।
প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদ