হরতালের সময় কমলো ১২ ঘণ্টা
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রথমে ২৪ ঘণ্টা হরতাল আহ্বান করলেও তা পরে ১২ ঘণ্টা করা হয়েছে। তবে কী কারণে কমানো হয়েছে তা বলা হয়নি।
দুপুরে দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা এবং তাকে গুলি করে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে ২০ দলীয় জোটের ডাকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী ১২ ঘণ্টার সর্বাত্মক হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।’
বিজয় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার কথা জানান কবির রিজভী আহমেদ। সন্ত্রাস রোধে ১৪ দলের পক্ষ থেকে মহল্লা ব্যাপী যে কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে তারও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘এই ভোটারবিহীন সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করার জন্য গুপ্তঘাতকদের নামিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন পাড়ায় মহল্লায়। জনগণের তুমূল আন্দোলনের চাপে শেষ বিষাক্ত ছোবল দেয়ার জন্যই মরণঘাতি গুপ্তবাহিনীদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছে তারা। এরই নির্মম শিকার হয়েছেন দেশের পেশাদার কূটনীতিক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিয়াজ রহমান। বর্তমান অবৈধ সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ের বাকশালী দুঃশাসনের চরম সীমায় উপনীত হয়েছে। সকল বিরোধী মত এবং দলকে নিশ্চিহ্ন করে শতকরা ৫ ভাগ ভোট পেয়ে অবৈধ একদলীয় শাসনকে টিকিয়ে রাখার জন্য তারা দেশব্যাপী এখন রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়ার কর্মসূচিতে লিপ্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘একদলীয় বাকশালী দুঃশাসনের এটি শেষ অন্ধকার। এই অন্ধকার দূরীভূত করার জন্য মৃত্যুকে জয় করার ব্রত নিয়ে ২০ দলীয় জোটসহ আপামর জনসাধারণ এখন দুর্বার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে।’
রিজভী বলেন, ‘শতকরা ৫ ভাগ জনসমর্থনের এই অবৈধ সরকারকে রক্ষার জন্য যারা জনগণের আন্দোলনের ওপর দমন পীড়ন চালাচ্ছেন তারা কেউই রেহাই পাবেন না। দেশের জনগণ তাদের বিচার নিশ্চিত করবেই। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে তার প্রতি অমানবিক আচরণসহ অশ্লীল কথাবার্তা যারা বলছেন তারাও এদেশের মানুষের ক্রোধ থেকে কখনোই রেহাই পাবেন না।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ২০ দলীয় জোটের ডাকা আগামীকালের হরতাল এবং চলমান অবরোধ কর্মসূচি স্বতঃস্ফুর্তভাবে পালনের জন্য দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। তবে বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’