হাসপাতাল এখন কুকুরের আস্তানা!

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬ সময়ঃ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৪৪ অপরাহ্ণ

সাদ্দাম মজুমদার (ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি)

indexসন্ত্রাসী কিংবা দৈত-দানব নয়। শুধু কুকুর ও দালালদের উৎপাতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে রোগী-অভিভাবকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। কুকুরের ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ছে রোগীরা। অন্যদিকে, দালালদের খপ্পরে পরে সর্বশান্ত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা নিরীহ লোকজন। কিন্তু এসব দেখার কেউ নেই।

জেলা শহরের পুরাতন বাসষ্টান্ড এলাকায় ১৯৮৭ সালে সদর হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১শ শয্যা থেকে আড়াইশ বেডের হাসপাতাল হলেও অবকাঠামোর উন্নতি হয়নি। শয্যার অভাবে বাড়তি রোগীর ঠাই হয় মেঝেতে, কখনও কখনও বারান্দায়। এর উপর আবার কুকুরের উৎপাত!

বিড়ম্বণায় পড়েছে রোগী ও অভিভাবকরা। পাউরুটি, বিস্কুট ও ভাত-তরকারীও খেয়ে ফেলছে তাদের। হাসপাতালের ভেতর বাহিরে মল-মূত্র ত্যাগ করছে কুকুর। আক্রমনের শিকার হচ্ছে অনেকে। কুকুরের ভয়ে আতঙ্কিত রোগীরা। ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের এখন পোয়াবারো। চিকিৎসা সেবা দিতে হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার নার্সরা বিপাকে পড়েছেন।

হাসপাতাল সংলগ্ন ঢাকা ফার্মেসী নামক ঔষধ দোকানদার সাইফুল ইসলাম জানান, কুকুরের অত্যাচারে রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।
সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা. শুভেন্দু কুমার রায় বলেন, হাসপাতালে তিনি কুকুর দেখেছেন। একই সুরে নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক নার্স ও কর্মচারীরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে আউটডোর, ইনডোরে ঘোরাফেরা করছে কুকুর।

সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামের সালমা খাতুন নামে এক বৃদ্ধা গত সপ্তাহে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম জানান, কুকুর তার মায়ের পাউরুটি, বিস্কুট খেয়ে ফেলেছে।

আরজিনা নামে এক প্রসূতি বলেন, কুকুরের ভয়ে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে এক ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মধূপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্র রায় একই অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু কুকুরের উৎপাতে ভয়ে থাকতেন তারা।

এদিকে, বিভিন্ন বেসরকারী হাসাপাতাল ও ক্লিনিক এর নিযুক্ত দালাল চক্রের দৌড়াত্বে সর্বশান্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের প্রসূতী রোগী শাহেদা বেগম জানান, তাকে জাহানারা নামে এক মহিলা ফুসলিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। একই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার বিশ্বাসপুর গ্রামের আলেয়া বেগম।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন একদিন তিনি আউটডোরে কুকুর দেখেছেন। হাসপাতালের পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G