সূর্য যোবার পরে উত্তেজক খাবার খেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ওজনও বাড়বে।সুতরাং সন্ধ্যেবেলা চা-কফি-মিষ্টি খাবেন না।
মুড ভাল না থাকলে, কাজে আলস্যবোধ করলে বা নিছক ক্লান্ত লাগলেও আমরা টুকটাক কিছু মুখে পুড়ে দিই! আর এই টুকটাকের মধ্যে মিষ্টি, ডেজ়ার্ট, পেস্ট্রি তো অনেকেরই পছন্দের তালিকায় খুব উপরের দিকে থাকে। তবে মিষ্টির প্রতি এই অদম্য আকর্ষণ কিন্তু প্রভাব ফেলতে পারে ঘুমের উপরে। বিশেষ করে সূর্য ডোবার পর যদি সুইট ক্রেভিং শুরু হয় ও আপনি যদি আত্মসমর্পণ করেন, তাহলে সে রাতে ঘুম ভাল হবে না। আর ঘুমের অভাবের ফলে পরেরদিন আবার মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে জাগবে এবং আবার ঘুমের ব্যাঘাত হবে। এই একই ফর্মুলা চা বা কফি জাতীয় উত্তেজক পানীয় বাএর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে চা-কফির তুলনায় মিষ্টির প্রতি ক্রেভিং তৈরি হয় অনেক সহজে।
সারাদিন শরীরের মেটাবলিক রেট যেমন বেশি থাকে, তেমনই দৌড়ঝাঁপের ফলে ক্যালরি বার্নও হয় তাড়াতাড়ি। তাই দিনের বেলায় মিষ্টি বা ডেজ়ার্ট চলতেই পারে, তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে। তবে বিকেলের পর থেকে এগুলো এড়িয়ে চলাই ভাল। সূর্যাস্তের পর শরীর ‘গাবা’ (GABA) বলে একটি নিউরোট্রান্সমিটার ব্যবহার করে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ কমাতে। এর ফলে সেরোটোনিন আর ডোপামিন হরমোন ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোনদ্বয় উত্তেজনার বোধ কমিয়ে দেয় আর শরীরে একধরনের শান্তভাব নিয়ে আসে। তবে চা-কফি বা মিষ্টি খেলে ফল হয় ঠিক উলটো! এর ফলে একদিকে যেমন ওজন বাড়ে দ্রুত, তেমনই রাতে ঘুমিয়েও শান্তি পান না। ঘুম না হলে গাবা-র প্রভাব অনেকটা কমে যেতে শুরু করে। আর এর ফলে অ্যাংজ়াইটি আর ডিপ্রেশন বাড়তে শুরু করে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু ডিপ্রেশন থেকেও হতে পারে। বেশি রাতে ডেজ়ার্ট খেলে বা অনেক রাতে ডিনার করলে অনেকেই পরের রাতে দুঃস্বপ্ন দেখেন। তাই, মিষ্টি বা ডেজ়ার্ট জাতীয় খাবার খাওয়ার আদর্শ সময় বিকেল চারটে পর্যন্ত। চা-কফিও চারটের মধ্যেই খান। রাতে সুখনিদ্রা পাবেন, আবার ওজনও আয়ত্তে থাকবে।উলটোদিক থেকে দেখতে গেলে বেশি মিষ্টি খেলে শরীরে আলস্য, কাজে উৎসাহ হারানো, মোটা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। সন্ধ্যেবেলা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, আপনার প্রিজনদেরকেও বিরত রাখুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন