১৫ ট্রাক ইলিশ গেলেও কোনো পেঁয়াজ আসেনি !
টানা ছয় দিন পেঁয়াজের ট্রাক আটকে রেখে পর পর দুই বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও একটি ট্রাকও বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি ভারতীয় কাস্টমস। এতে বাধ্য হয়ে লোকসান কমাতে অনেক আমদানিকারক তাদের ট্রাক পেট্রাপোল বন্দর থেকে বের করে পেঁয়াজ খোলাবাজারে বিক্রি করছেন।
কেউ আবার ভোমরা ও হিলিবন্দর সচল থাকায় সে বন্দরে নিয়ে গেছেন। তীব্র গরমে আটকে থাকা পেঁয়াজের অধিকাংশ খাবারের অনুপযোগী হতে চলেছে বলে জানা গেছে।
তবে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকেছে আরো ১৫ ট্রাকে ৮৪ মে.টন ইলিশ।
এদিকে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বন্দর এলাকায় এখনো কমেনি দাম। পাইকারী বাজারে কেজি ৬০ টাকা আর খুচরা বাজারে এখনও ৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রবটি অনেকে না কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ক্রয়কৃত পেঁয়াজের চালান ভারতীয় কাস্টমস অনিয়ম করে আটকে বাণিজ্য চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
এতে ব্যবসায় যে ক্ষতি করলো তাতে অনেক ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে পথে বসবে। আগামীতে যাতে এমন আচরণ তারা না করতে পারে তার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দুই দেশের বাণিজ্যিক বৈঠকে আলোচনা করা দরকার বলে জানান তিনি।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আকছির উল্লীন মোল্লা জানান, শনিবার অন্যান্য পণ্য ঢুকলেও আটকপড়া কোনো পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ করেননি। তবে ট্রাক ঢুকলে কাস্টমস গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের মৎস্য ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম জানান, বিশেষ অনুমতিতে পূজা উপলক্ষে গত ৬ দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ঢুকেছে ২৭ লাখ ১৫ হাজার ৫২০ ডলার মূল্যের ৩০০ মে. টন ৩৮০ কেজি ইলিশ।
জানা যায়, দেশের বাইরে রফতানি নিষিদ্ধ থাকলেও বাণিজ্য আর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার পূজা উপলক্ষে ১৪৫০ মে.টন ইলিশ দেয় ভারতকে। এর প্রথম চালানে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে ৪৮ মে. টন ইলিশ প্রবেশ করার দিনই সংকট দেখিয়ে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয় পেঁয়াজ রফতানি। ঠিক গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর যেদিন ভারতকে ৫০০ মে.টন ইলিশ দেয়া হয়েছিল ঠিক সেদিনও একই কারণ দেখিয়ে তারা বাংলাদেশে বন্ধ করে দেয় পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশ।
প্রতি /এডি /রন