২৫ বছর পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ারের শপথ
আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
প্রবীণ রাজনীতিবিদ শেষ পর্যন্ত ভাগ হয়ে যাওয়া সীটের হিসেব-নিকেষের কারণে মালেশিয়ার ক্ষমতা ঝুলে ছিল। নির্বাচনের পর কয়েকদিন ধরে ক্ষমতায় বসার মিশনে নামে বিরোধী দলের আনোয়ার। কোন দলই কোন অগ্রগতি করতে না পারায়, রাজা আনোয়ার এবং মুহিউদ্দিনের সাথে সাক্ষাত করেন। পাশাপাশি সংসদের নবনির্বাচিত সদস্যদের সাথে তাদের মতামত তুলে ধরতেন। নতুন সরকারকে কার নেতৃত্ব দেওয়া উচিত মতামত নিয়েই রাজা সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার রাজকীয় পরিবারের একটি বৈঠকের পর, আনোয়ারকে নেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ রাজা নিশ্চিত ছিলেন যে মালয়েশিয়ার সংসদের ২২২ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন রয়েছে তার।
রাজার হস্তক্ষেপের পরই সরকার প্রধানের শীর্ষ পদটি অর্জন করেন আনোয়ার।
আনোয়ার ইব্রাহিম মালয়েশিয়ার ১০তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন আজ। একজন ব্যক্তির জন্য একটি অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন। তিনি ১৯৯০ এর দশকের তাকে হঠাৎ বরখাস্ত এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার নাম ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টা পর ৭৫ বছর বয়সী এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ কুয়ালালামপুরের রাজপ্রাসাদে বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহের সামনে শপথ নেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায়।
আনোয়ারের পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোট উইকএন্ডের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হওয়ার পর বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহ নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১১২ আসনের সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।
পিএইচ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বী রক্ষণশীল মালয়-মুসলিম পেরিকটান ন্যাশনাল (পিএন) জোট। যার দ্বিতীয়-সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন ছিল, উভয়েই সাবাহ এবং সারাওয়াকের বোর্নিও রাজ্যে ছোট জোটকে প্ররোচিত করে সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করে।
পাশাপাশি বিএন জোট যেটি ২০১৮ সালের শেষ নির্বাচনে ঐতিহাসিক পরাজয়ের আগে প্রায় ৬০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল।
বাদশাহ সুলতান আবদুল্লাহ বিবৃতিতে বলেছেন, “কোনও নিরঙ্কুশ বিজয়ী বা পরম পরাজয় নেই”, দেশের স্বার্থে সকল রাজনীতিবিদদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র : আল-জাজিরা