২৮ কোম্পানির ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭ সময়ঃ ৪:০৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:০৫ অপরাহ্ণ

BannedDrugs

আগামী তিন দিনের মধ‌্যে ২৮টি ওষুধ কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন ও সেফালোস্পোরিন) স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধের উৎপাদন ও বিপণন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

একই সঙ্গে নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা তা জানিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্যসচিব, শিল্পসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষুধ উৎপাদন মালিক সমিতির সভাপতি, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও র‌্যাব মহাপরিচালককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ নির্দেশ দেয়।

রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ  জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা ‘গুড ম‌্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ অনুসরণ না করে ২৮টি কোম্পানি নিম্নমানের অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন ও বিপণন করছে। এতে জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে।

‘গুড মেনুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস’ বা জিএমপি নীতিমালা আমাদের দেশের প্রচলিত আইন দ্বারা স্বীকৃত। ফলে জিএমপি লঙ্ঘন করে ওষুধ উৎপাদন সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

মনজিল মোরসেদ বলেন, মাননীয় স্পিকারের অনুমতিক্রমে গঠিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করে এসব কোম্পানির উৎপাদিত অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও ক্যান্সার প্রতিরোধক ওষুধ উৎপাদন বন্ধের সুপারিশ করে। কিন্তু এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় জনস্বর্থে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল

 

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G