৩২০ মেট্রিক টন সার গায়েব!
জেলা প্রতিবেদক
যশোরে বিএডিসির গুদাম থেকে ৩২০ মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সারের কোনো হদিস নেই।
জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের একটি কমিটি মজুদ সারের পরিমাণ ও কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এটি নিশ্চিত হয়েছেন।
সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন বিএডিসির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরে বিএডিসির ৫টি সারের গুদাম রয়েছে। সম্প্রতি এই গুদামগুলোর মজুদ সারের পরিমাণ নিরূপণ ও কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
এ সময় চাঁচড়া এলাকার গুদামের কাগজপত্রের হিসেব অনুযায়ী ৩২০ মেট্রিক টন এমওপি সার কম পাওয়া গেছে। তবে কবে এবং কিভাবে এই সার গুদাম থেকে বেরিয়েছে তার কোনো তথ্য উপাত্ত পাওয়া যায়নি।
৩২০ মেট্রিক টন সার কম থাকার বিষয়টি ধরা পরার পর জেলা প্রশাসন থেকে বাস্তব অবস্থা নিরূপণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। কাগজপত্র ও মজুদ পরীক্ষার পর গত ২৭ আগস্ট এই কমিটি সার কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সার গুদামের বাস্তব অবস্থা নিরূপণের জন্য গঠিত কমিটিতে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ছিলেন যশোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল আরিফ।
তিনি জানান, বিএডিসির এই সারের গুদামগুলোতে কোনো সিস্টেম ছিল না। সার এসেছে নামানো হয়েছে, আবার তা বের করে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে কোনো বছরের সার বা কত আগে থেকে এই সার কম রয়েছে তার কোনো হদিস নেই।
তবে জেলা প্রশাসনের কমিটি ৫টি গুদাম পরীক্ষা করে চাঁচড়ার গুদামে ৩২০ মেট্রিক টন সার কম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিএডিসির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর হয়ে মন্ত্রণালয়ে যাবে। এরপর মন্ত্রণালয় তদন্ত বা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফ