৩ শিক্ষার্থী হত্যার কারণ ধর্মীয় ঘৃণা !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম
যুক্তরাষ্ট্রের চ্যাপেল হিলে অবস্থিত নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির আবাসিক ভবনে তিন মুসলিম শিক্ষার্থী হত্যার পেছনে ‘ধর্মীয় ঘৃণা’ কাজ করেছে।
মুসলমান হওয়ার কারণেই সামান্য গাড়ি পার্কিয়ের সময় সৃষ্ট বিতর্কের জের ধরে তাদের হত্যা করা হয়, এমনটিই দাবি করেছেন নিহত তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজনের বাবা মোহাম্মদ আবু সালহা।
বৃহস্পতিবার নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির খেলার মাঠে নিহত ওই তিন শিক্ষার্থী দিয়া শাদ্দি বারাকাত (২৩), তার স্ত্রী ইয়সোর (২১) এবং শ্যালিকা রাজান মোহাম্মদ আবু-সালহার (১৯) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমপক্ষে সাড়ে ৫ হাজার লোক অংশ নেয়।
জানাজায় অংশ নেয়া নাসরিন শাবিন বলেন, ‘এটি আমার অংশ নেয়া সবচেয়ে বড় জানাজা। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে জানাজায় আসছিল। লোকজনের সংখ্যা বেড়েই চলছিল। এটি ছিল যাদুকরী।’
জানাজায় লোকজনের উদ্দেশে বলা হয়, ‘ইসলামি সন্ত্রাসবাদ প্রচার করতে করতে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম মুসলমানদের সম্পর্কে দেশের জনগণের মন বিষিয়ে তুলেছে। মানুষ আমাদের (মুসলমানদের) ভয় পায়, ঘৃণা করে এবং আমাদের থেকে মুক্তি পেতে চায়। আপনাকে ইতিমধ্যে ঘৃণা করে এমন লোকের সঙ্গে যদি আপনার দ্বন্দ্ব বাধে, তাহলে ওই লোক আপনার মাথায় বুলেট বিদ্ধ করতে কার্পণ্য করবে না।’
শাদ্দি বারাকাতের বোন সুজানে বারাকত তার পরিবারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে বলেন, ‘এই বিচারবুদ্ধিহীন ও জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে যেন ধর্মীয় ঘৃণা সংক্রান্ত অপরাধ হিসেবে তদন্ত করে কর্তৃপক্ষ।’
চ্যাপেল হিলের পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিতর্কের জেরে ওই তিনজন খুন হয়েছেন। তবে এর পেছনে ধর্মীয় ঘৃণা কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তিন শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় ৪৬ বছর বয়সি ক্রেইগ স্টিফেন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এই তিন খুনের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে ওই তিনজনকে খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে দেখে তিনজনের মৃতদেহ পড়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ওয়েবসাইটে তিন খুনের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, খুনের ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এই ঘটনা সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি নয়। -বিবিসি, আল জাজিরা।
প্রতিক্ষণ /এডি/জেসমিন