ক্রীড়া ডেস্ক
২০১৫ সাল আর ২০২২ সাল, মাঝে ৭টি বছর পেরিয়ে গেছে। ২০১৫ সালে মিরপুরের ২২ গজি উইকেটে ভারতকে হারানো পর আর হারানো স্বাদ নেয়া সম্ভব হয়নি। সেটা সম্ভব হলো ৭ বছর পর আবারো সেই মিরপুরেই। ৭ বছর আগে সিরিজ জিতেছিল টাইগার বাহিনী।
৭ বছর পর সেই স্মৃতি আবার হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পারবে কি বাংলাদেশ ২০১৫ সালকে ২০২২ সালে নতুন করে উপস্থাপন করতে?
৪ ডিসেম্বর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন মাঠে যে লড়াই, সংগ্রাম দেখিয়েছেন, ব্যাট ও বলে যে উদ্ভাসিত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, তাতে ২০১৫ সালের সুখ-স্মৃতি ফিরিয়ে আনার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
৭ ও ১০ ডিসেম্বর যে দুটি খেলা বাকি আছে। তার একটিতে জিতলেই ৭ বছর আগের ইতিহাস ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। আবার ভারতকে ওয়ানডেতে সিরিজ হারানোর দুর্দান্ত কৃতিত্ব হবে অর্জিত। প্রতিটি ক্রিকেটারের মনে এখন সে ভাবনাই বাসা বেধেছে। তারা সবাই নির্ভার। রোববার মাঠেই জয়ের উৎসব হয়েছে। গতকাল সোমবার কোন প্র্যাকটিস ছিল না, ছুটি ছিল। ক্রিকেটাররা ছুটির আমেজেই কাটিয়েছেন পুরো দিন।
কোন অনুশীলনের তাড়া ছিল না। কিন্তু আজ ঠিকই অনুশীলনে নামবে বাংলাদেশ। আর কাল যে ভারত মরণ কামড় দিতে সিরিজে সমতা ফেরাতে, না বললেও চলে। তবে মিরাজ যেভাবে ১ম ম্যাচে শেষ জুটিতে ৫১রান জমা করে জয় ছিনিয়ে এনেছে, তাতে সিরিজ জয়ের স্বপ্নটা অবাস্তব বলে মনে হবার তো কোন কারণ নেই। এখন শুধু কাল পর্যন্ত অপেক্ষা।
উল্লেখ, বাংলাদেশ এ যাবত কালে ৩৬টি ওডিআই ম্যাচে মাত্র ৬টি জিতেছে। সে ৬ ম্যাচের মধ্যে ৪টিই দেশের মাটিতে আর ২টি বাইরে।