ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএল ৯ম আসরের দ্বিতীয় দিনে আজ প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্স পেসার আল-আমিন হোসেনের বোলিং তোপে স্বল্প রানে গুটিয়ে গেছে খুলনা টাইগার্স। দিনের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রানের সংগ্রহ পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। আল-আমিন ৪ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে ঢাকা মাত্র ৪ উইকেটে খরচা করে স্কোর বোর্ডে ১১৭ জমা করে ১৯.১ ওভারে। ৬ উইকেটে ঢাকার সহজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ব্যাট হাতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে খুলনা। পাওয়ার-প্লেতে ৩২ রানেই ৩ উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। চতুর্থ ওভারে খুলনাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসির হোসেন । ওপেনার পাকিস্তানের শারজিল খানকে ৭ রানে বোল্ড করেন নাসির। পরের ওভারে ৪ রান করা মুনিম শাহরিয়ারকে বিদায় করেন পেসার আল-আমিন হোসেন।
পাওয়ার-প্লের শেষ ওভারে ওপেনার তামিম ইকবালকে শিকার করেন স্পিনার আরাফাত সানি। ১৫ বল খেলে ১টি চারে ৮ রান করেন তামিম। চতুর্থ উইকেটে জুটি বেঁধে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন পাকিস্তানের আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি। মারমুখী মেজাজে ছিলেন আজম। দশম ওভারে আজম শিকার হন সানির। ১২ বল খেলে ৩টি চারে ১৮ রান করেন আজম। ইয়াসিরের সাথে ২২ বলে ২১ রানের জুটি গড়েন তিনি।
দলীয় ৪৯ রানে আজমের আউটের পর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে নিয়ে সাবধানে খেলতে থাকেন ইয়াসির। উইকেটে সেট হয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন তারা। নাসিরের করা ১৫তম ওভারে ১টি করে চার ও ছক্কা মারেন সাইফুদ্দিন ও ইয়াসির। ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারার পরের ডেলিভারিতে আউট হন ইয়াসির। ১টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ২৪ রান করেন ইয়াসির। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ বলে ৩১ রান যোগ করেন তারা।
ইয়াসিরের আউটের পর সাইফুদ্দিনের ২৮ বলে ১৯ ও শেষ দিকে পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের ৩ বলে ১০ রানের সুবাদে তিন অংক স্পর্শ করে খুলনার দলীয় সংগ্রহ। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৩ রান করে খুলনা। ঢাকার আল-আমিন ২৮ রানে ৪টি উইকেট নেন। নাসির-সানি ২টি করে শিকার করেন।
১১৪ রানের জবাবে ঢাকার ১১৭ রানের মধ্যে সেরা ব্যাটার ছিলেন বহু পুরাতন তারকা নাসির হোসেন, ৩৬ বলে ৩৬ রানই ছিল ঢাকা পক্ষে সেরা ব্যক্তিগত স্কোর।