জব্বারের রায় পড়া শুরু
মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রায় পড়া শুরু হয়। জব্বারের ১৪১ পৃষ্ঠার মোট রায়ের প্রথম অংশ পড়ছেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করবেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা ছাড়াও ৩৬ জনকে হত্যা, ২০০ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ, ৫৫৭টি বাড়িঘরে লুটপাট চালানো ও অগ্নিসংযোগের মতো পাঁচটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এর আগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামান রাখেন ট্রাইব্যুনাল।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। জব্বারের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আবুল হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষে শেষ ও ২৪তম সাক্ষী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ করার মধ্য দিয়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
জব্বারের বিরুদ্ধে গত ১৪ আগস্ট অভিযোগ গঠন করা হয়। ৭ সেপ্টেম্বর সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন শেষে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
এর আগে গত বছরের ৮ জুলাই ট্রাইব্যুনালের এক আদেশে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জব্বারকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও হাজির হননি জব্বার। এজন্য তাকে পলাতক ঘোষণা করা হলো।
এরপর আইনজীবী আবুল হাসানকে জব্বারের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্ট্যাট ডিফেন্স) আইনজীবী নিয়োগ করা হয়।
গত ১২ মে তার জব্বারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনিত পাঁচটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) থাকা যুদ্ধাপরাধের সর্বশেষ মামলা এটি। আর এ মামলার রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে ট্রাইব্যুনালে জমে থাকা অপেক্ষমান মামলার সংখ্যা শূন্যতে নেমে আসবে।
১৯৮৮ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার জব্বার। ৮০ বছর বয়সী জব্বার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছেলে-মেয়ের কাছে পালিয়ে আছেন বলে প্রসিকিউশন ধারণা করছেন।
প্রতিক্ষণ /এডি/বাবর