বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ, অটোরিকশার ৭ আরোহী নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুই শিশুসহ সাতজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বাসের ১০ যাত্রী। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নোয়াবাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পূর্বাঞ্চল মহাসড়ক (হাইওয়ে) পুলিশের পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত লোকজন হলো চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (৪৫), কুলসুম আক্তার (৩৫), রোজিনার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (৭), আমানগন্ডা গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আবদুর রবের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৩৫), তাঁর মেয়ে ডলি আক্তার (৫), অটোরিকশার চালক আমানগন্ডা গ্রামের ফিরোজ মিয়া (৩৫) ও অজ্ঞাত ৩৫ বছরের এক যুবক। নিহত লোকজনের সবাই অটোরিকশার আরোহী ছিল।
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় মিয়াবাজার থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে চালকসহ সাতজন চৌদ্দগ্রামে যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় অটোরিকশাটি নোয়াবাজার এলাকায় পৌঁছালে চট্টগ্রাম থেকে আসা ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় অটোরিকশার সাত আরোহী।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মহাসড়কের আশপাশের বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহত লোকজনকে অটোরিকশার ভেতর থেকে বের করে।
মহাসড়ক পুলিশের নোয়াবাজার ফাঁড়ির সার্জেন্ট নাজিম উদ্দিন জানান, অটোরিকশাটি মিয়াবাজার থেকে চৌদ্দগ্রামে যাচ্ছিল। কিছু দূর যাওয়ার পরই এটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক পালিয়ে যান। তবে বাসটি আটক করা হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চক্রবর্তী বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রানা