মুক্তমনা লেখককে শেষ শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলায় আজ রোববার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্ত ও প্রগতিশীল চিন্তার মানুষ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ফুল দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অভিজিৎ রায়ের মরদেহ মগবাজারের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে অভিজিৎ রায়ের মা শেফালী রায় শয্যাশায়ী। ছেলের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সেখান থেকে তাঁর মরদেহ গবেষণার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে লাশবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে অভিজিৎ রায়ের মরদেহ প্রথমে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বুয়েটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তাঁর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তত্ত্বাবধানে শ্রদ্ধা নিবেদনের কার্যক্রম শুরু হয়।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমানর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুনুর রশিদ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বাবা অজয় রায়সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েল অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, “লেখক হুমায়ুন আজাদ ও অভিজিতের হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। এই খুনীদের দুয়েকজনকে ধরে ফাঁসি দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের সামাজিকভাবে এ সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ (৪৩) গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীকে নিয়ে বইমেলা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হন। দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করে। তাঁর স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি