মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় ২ মাস মাছ শিকার নিষিদ্ধ

প্রকাশঃ মার্চ ১, ২০১৫ সময়ঃ ৭:১০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:২৯ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

mas sikarমেঘনা নদীর চাঁদপুরের মতলব (উত্তর) উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং ভোলা সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশার শাহবাজপুর চ্যানেলের পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার নদীতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

১ মার্চ থেকে ৩১ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। এই সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে মাছ ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ ও পরিবহনের ওপরও।

মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫০-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

দেশের ইলিশ সম্পদ রক্ষা, উৎপাদন বাড়ানো এবং সংরক্ষণের লক্ষে প্রত্যেক বছর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রথমবার কেউ নদীতে জাল ফেললে এক মাস হতে সর্বোচ্চ ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং পরবর্তী প্রতিবার আইন ভঙ্গের জন্য কমপক্ষে ২ মাস হতে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারে প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলে ও তাদের পরিবারকে চাল, নগদ টাকা দেওয়াসহ পুনর্বাসনের আওতায় আনা এবং গরু, ছাগল, সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়িসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহায়তা করা হয়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুর রহমান জানান, অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন স্থানে জনসচেতনামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া জেলেরা প্রতিজ্ঞা করেছে এ দুই মাস তারা নদীতে নামবে না। প্রত্যেক জেলেকে মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। শিগগিরই তা জেলেদের হাতে পৌঁছে যাবে।

সরকারি হিসেবে চাঁদপুরে ২৮ হাজার ৯ ৬৭ জন জেলে রয়েছেন। তবে, মানবিক সহায়তার জন্য এ বছর ৩৬ হাজার ৫শ ১৫ জনের নামের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের লক্ষ্যে শনিবার দিনভর মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্ট ও মৎস্যঘাটগুলোতে সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ ও মাইকিং করা হয়েছে।

ভোলা জেলায় মোট নিবন্ধনকৃত জেলে রয়েছেন ৮৮ হাজার ১২৮ জন। তবে সরকারি চাল পাচ্ছেন ৫২ হাজার ১৫০ জেলে। এতে বরাদ্দকৃত চাল সবার ভাগ্যে জুটছে না। ফলে চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছেন ৩৬ হাজার জেলে। কিভাবে দিন কাটবে সে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক জানান, বিকল্প হিসেবে জেলেদের জন্য চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে সব নিবন্ধনকৃত জেলে এ সুবিধা পাচ্ছেন না। কারণ সরকার থেকে ৫২ হাজার ১৫০ জেলেকে এর আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক তালিকা তৈরির মাধ্যমে জেলে পরিবার প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে মোট চার মাস চাল দেওয়া হবে।

প্রতিক্ষণ /এডি/লতিফ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G