বেলা বাড়লেই ক্লান্ত লাগে? কি করবেন
হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
যখন অনেক বেশি ঘুম পেয়ে যায় কাজের সময় তখন আমরা সাধারণত দোষারোপ করি রাতের ঘুমের উপর। ঘুম কম হওয়ার কারণেই যতো সমস্যা হচ্ছে বলে মনে করে থাকি। ব্যাপারটি কিন্তু আসলেই ঠিক তাই। রাতে ঘুম কম হওয়া, অনিদ্রা এবং ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার কারণেই দিনের বেলা কাজের সময় পেয়ে বসে রাজ্যের ঘুম।
এছাড়াও ঘুম না হলে ধীরে ধীরে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে, এতে করে অল্পতেই আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি এবং রোগগুলো দেহে মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে। সুতরাং ঘুমকে অবহেলা নয় মোটেই।
যে কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে:
১. ৮৫.২% মানুষ বলেন ঘরের তাপমাত্রা ঘুমের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাপমাত্রা একেবারে কম ছিল কিংবা অনেক ক্ষেত্রে বেশি ছিল।
১. ঘরের তাপমাত্রা ঘুমের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তাপমাত্রা একেবারে কম ছিল কিংবা অনেক ক্ষেত্রে বেশি ছিল।
২. সঙ্গীর সাথে ঘুম সংক্রান্ত সমস্যার কথা।
৩. আশেপাশে অনেক বেশি শব্দের কথা।
৪. ঘরে অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো ছিল।
৫. বিছানা আরামদায়ক ছিল না।
৬. বাচ্চার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারেন নি।
৭. শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঘুমাতে পারেন নি।
সমস্যা এড়াতে যা করা উচিতঃ
১. প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি। কারণ এতে শারীরিক পরিশ্রম হবে যার কারণে রাতে ক্লান্তির কারণে আরামের ঘুম হবে।
২. একটানা কাজ না করে ২-৩ ঘণ্টা পরপর একটু বিশ্রাম দেয়া উচিত মস্তিষ্ককে। অর্থাৎ কাজ বন্ধ করে দিন, কিন্তু শারীরিকভাবে বিশ্রাম না নিয়ে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিন।
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে করে দেহে এনার্জি পাবেন।
৪. ঘোরের আলোর উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখুন ঘুমানোর সময়।
৫. খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ওমেগা৩ সমৃদ্ধ খাবার। গবেষণায় দেখা যায় যারা ওমেগা৩ সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান তাদের ঘুমের সমস্যা কম হয়।
যা একেবারেই করবেন নাঃ
১. অনেক বেশি মাত্রার ক্যাফেইন ও চিনি গ্রহন করা থেকে বিরত থাকুন।
২. ঘুমুতে যাওয়ার আগে এবং বিছানায় শুয়ে মোবাইল, ল্যাপটপ টেপাটেপি করবেন না একেবারেই,
৩. একই বিছানার চাদর বালিশের কভার ১ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করবেন না।
৪. রাতে দেরি করে ব্যায়াম করবেন না।
প্রতিক্ষণ/এডি/শিমু