চাই স্টাইলিশ ঘড়ি
তাজিন আক্তার, প্রতিক্ষণ ডটকম:
হাত ঘড়ির ব্যাপারটি এখন আর সময় দেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ঘড়ির টাইম ঠিক থাক আর না থাক স্টাইলিশ ফ্যাশনের জন্য হাতে ঘড়ি থাকা চাই-ই-চাই।
আপনার হাতেও যদি একটি স্টাইলিশ ঘড়ি থাকে তাহলে আপনার মন ভাল থাকবে আর ফ্যাশেনের মুড হবে একটু অন্য রকম। বর্তমানে বিভিন্ন বাজার ও অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে হরেক রকমের ফ্যাশনেবল হাত ঘড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে বড় ডায়ালের হাতঘড়ি পছন্দের শীর্ষে। ফ্যাশন আর প্রয়োজন- দুই মিলিয়ে মানানসই হাতঘড়ির দিকেই আগ্রহ তরুণদের। মোটা চেইন আর বড় ডায়াল, এমন ঘড়িই তরুণদের পছন্দ, তবে টিনএজাররা স্পোর্টস ঘড়ি পরতেই বেশি পছন্দ করে।
ক্যাজুয়াল লুকের ক্ষেত্রে চেইন আর বড় ডায়ালের ঘড়িই বেশি জনপ্রিয়। আর ফরমাল লুকের ক্ষেত্রে ছোট ডায়ালের চামড়া বা চেইনওয়ালা ঘড়িই বেশি মানিয়ে ।
তবে যেমন ঘড়িই হাতে দেওয়া হোক না কেন, তা নিজের ব্যক্তিত্ব বা পরিবেশের সঙ্গে কতটা মানানসই, তা বিবেচনা করতে হবে সবার আগে। বিশ্বের নামী-দামী ব্র্যান্ডের ঘড়ি এখন বাজারে পা্ওয়া যায়।
তার মধ্যে সিকো, টাইটান, রালফ লরেন, কেলভিন ক্লেইন, গুচি, রোলেক্স, ওমেগা, ক্যাসিও, টাইমেক্স, ট্যাগ হুয়ার অন্যতম। ডিজাইন এবং কোয়ালিটি ভেদে দাম একেকটির একেক রকম।
দাম পড়বে ২৫০০ থেকে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত। স্পোর্টস ঘড়ির মধ্যে এডিডাস অথবা নাইক পড়বে ২২০০ টাকা থেকে ১৫০০০টাকা। ওয়াটার প্রুফ এ ঘড়িগুলো ঘাম কিংবা পানিতে অনায়েসে ব্যবহার করা যায়।
মেয়েদের এখন চওড়া বেল্টের হাতঘড়ির দিকে বেশি ঝোঁক। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ব্রেসলেটের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন রং ও ডিজাইনের ফেন্সি হাতঘড়ি পরা এখন মেয়েদের ফ্যাশন।
রঙ-বেরঙের স্টোন ও মেটালের আকর্ষণীয় কারুকার্যখচিত স্বল্পদামের চায়নিজ ফেন্সি ঘড়ির মধ্যে ভিকসে, হাইয়ুকু, টেস, বিটিএল প্রভৃতির নাম উল্লেখযোগ্য। এগুলোর দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। মেয়েদের অভিজাত ডিজাইনের হাতঘড়ির মধ্যে টাইটান এজের ‘রাগা’ (৫০২৫ টাকা) খুব চলে।
এ ছাড়া সেন্টন (সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা), কিউ অ্যান্ড কিউ (৪০০ থেকে ২০০০ টাকা) ইত্যাদি ব্র্যান্ডেরও লেডিস ঘড়ি পাওয়া যায়। এগুলোয় রয়েছে লেদার, ধাতব চেইন, রাবার, জিনস ইত্যাদি উপাদানের বেল্টের চমৎকার সংযোজন। নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন শপিং কমপ্লেক্সে হাতঘড়ির দোকান রয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন গিফট শপে পাওয়া যাবে ফ্যাশনেবল ঘড়ি। ঘড়ি একজন মানুষের ব্যক্তিত্বকে অনেক বেশি বিকশিত করে থাকে। আজকাল মোবাইল ফোন ঘড়ির চাহিদা মেটালেও ঘড়ির প্রয়োজন ফ্যাশন হোক ও কাজের ক্ষেত্রে হোক; ঘড়ি তার একটা নিজস্ব জায়গা ধরে রেখেছে।
মানুষের চাহিদা ও ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজাইন ও স্টাইলে আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়েছে। তাই ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে ঘড়ি অনেক জনপ্রিয়।
তাজিন/প্রতিক্ষণ/এডি/আরেফিন