গরমে বসন্ত রোগ থেকে সাবধান

প্রকাশঃ মার্চ ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ২:৪৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৪৪ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষন ডট কম

pox_68612শীতের শেষে গ্রীষ্মের উষ্ণ বার্তা নিয়ে আসে ঋতুরাজ বসন্ত। ঋতুর হঠাৎ এই আগমন প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের স্বাস্থ্যগত পরিবর্তনেও প্রভাব ফেলে।

বিশেষত, যাদের অ্যালার্জি বা হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তাদের এই সময়টা খুব সাবধানে পার করতে হয়। তাছাড়া এই ঋতুতে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে সংক্রামক রোগ বসন্তের (চিকেন পক্স)মারাত্মক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সংক্রামক হওয়ায় এই বসন্ত রোগীর সেবাযত্নও অনেকটা কষ্টের।

জলবসন্তের লক্ষণঃ
জলবসন্ত হলে শুরুর দিকে শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা, মাথাব্যথা করা, গা-হাত-পা ব্যথা করা এমনকি পিঠেও ব্যথা হতে পারে। একটু সর্দি-কাশিও হতে পারে। এরপর জ্বর জ্বর ভাব হবে। এগুলো রোগের পূর্ব লক্ষণ। এরপর শরীরে ঘামাচির মতো কিছু উঠতে দেখা যায়। তারপর সেটা একটু পর বড় হতে থাকে এবং ভেতরে পানি জমতে থাকে। একই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হবে আর সঙ্গে সর্দি-কাশিও থাকবে।

বসন্ত রোগের সংক্রমণঃ
বসন্ত সংক্রামক রোগ হওয়ায় কোনো সুস্থ ব্যক্তি বসন্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে এতে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। জলবসন্তের গুটির ভেতরে পানি জমা থাকে। গুটি শুকিয়ে যেতে থাকলে ওপরের চামড়াটা ঝরে পড়ে। এই কালো হয়ে যাওয়া চামড়ায় জীবাণু থেকে যায় এবং এটা খুবই সংক্রামক। গুটি শুকিয়ে যেতে থাকলে শরীর অনেক চুলকায়। অনেকে তখন এগুলো চুলকিয়ে টেনে তুলে ফেলে। এতে অন্যরাও অক্রান্ত হয়। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে হলে রোগীকে অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে। তাকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে এবং তার বিছানাপত্র নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

জলবসন্তের প্রতিষেধকঃ
যদিও চিকেন পক্স বা জলবসন্ত একটা ভাইরাসজনিত ছোঁয়াচে রোগ, তার পরও এটা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন বসন্তের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আছে। শিশুর জন্মের ৪৫ দিন পর থেকে যেকোনো বয়সে এই ভ্যাকসিন নেওয়া যায়। তবে আক্রান্ত হলে অযথা রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়ারও প্রয়োজন নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ রোগ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সাধারণত ভালো হয়ে থাকে।

প্রতিক্ষণ/এডি/রবি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G