প্রথমবারের মত মসজিদ নির্মিত হচ্ছে কিউবায়!
ইফতেখার রাজু, প্রতিক্ষণ ডট কম.
নামাজ পড়তে হবে নিজের বাড়িতে অথবা যেতে হবে আগে থেকে ঠিক করা কোনও খোলা মাঠে। যে কোন জায়গায় যেকোনও অবস্থায় নামাজ পড়া যাবেনা। সে দেশের সংবিধানেও মসজিদ নির্মাণের অনুমতি নেই। নেই কোনও হালাল খাবারের দোকান।
এমনই একটি দেশ কিউবা। যে দেশে মুসলমানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু সেদেশের মুসলমানদের একত্রে নামাজ পড়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। নামাজ পড়তে হলে যেতে হয় ইমাম ইয়াইয়া পেড্রো টোরেজের বাড়িতে।
ইয়াইয়া পেড্রো টোরেজ কিউবান ইসলামিক লীগের প্রধান। সেখানে প্রতি শুক্রবারে কিউবান মুসলিমরা একত্রিত হন কেবল জুমার নামাজ পড়তে। রাজধানী হাভানার ন্যায় দেশটির অন্য অঞ্চলগুলোতে মুসলমানরা নামাজ পড়তে পারেন না। আর একটি ছোট্ট উপকুলীয় কিউবান শহর আলামারা। এখানকার মানুষ খুব বন্ধুপ্রবণ। অন্য গোত্রের সঙ্গে সেথানকার মুসলীমদের চমৎকার সম্পর্ক।
কমিউনিষ্ট শাসিত কিউবায় মুসলমানের সংখ্যা চার হাজার। সম্প্রতি দেশটিতে পাঁচ দশকের সমাজতান্ত্রিক শাসন শিথিল হতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও কিউবান মুসলমানরা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করতে পারে না। তাই সেখানে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা কঠিন। কিউবানরা শুকরের মাংস খান। মদ পান করেন। পোশাকে থাকে লাটিন ছোঁয়া। যা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
তবে সুখবর হলো সম্প্রতি সৌদি সরকারের উদ্যেগে কিউবায় প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে চলেছে একটি মসজিদ। রাজধানী হাভানার কাছে শিল্পাঞ্চলে তৈরি হচ্ছে এ মসজিদটি। কিউবান মুসলমানরা সেখানে নামাজ পড়তে পারবেন।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়েপ এরদোগান কিউবা সফর করেন। তখন তিনি কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর সঙ্গে এক আলাপচারিতায় রাজধানী হাভানায় মুসলিমদের ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কলম্বাসের অনেক আগে ১২০০ সালে মুসলমানরাই প্রথম কিউবায় নেমে আমেরিকা আবিস্কার করেন বলে দাবি করেছিলেন তিনি ।
কিউবাসহ ক্যারিবীয় অঞ্চলের অন্য দেশগুলোতে যেমন ত্রিনিদাদ ও টোবাগো,গায়ানা এবং সুরিনামেও রয়েছে প্রচুরসংখ্যক মুসলমানের বসবাস। সেক্ষেত্রে কিউবায় প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাওয়া এ মসজিদটি নতুন মাত্রা যোগ করলো।