খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চাল আমদানি তথ্যে গরমিল

প্রকাশঃ এপ্রিল ৯, ২০১৫ সময়ঃ ৮:১২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:৪০ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:

20150402134425দেশে চাহিদার চেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শ্রীলংকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানিও হয়েছে। একই সময় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ ৯ মাসে ১২,২২,৮৪৩ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে দেশেই যদি চাল উৎপাদন হয় তাহলে বিদেশ থেকে এই বিপুল চাল আমদানি করা হচ্ছে কেন?

খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হচ্ছে- আমদানি করা চাল গো-খাদ্য হিসাবে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ চাল মানুষের খাওয়ার জন্য নয়। কিন্তু ঋণপত্রে (এলসি) ওই চালের মূল্য অনুযায়ী আমদানি করা চাল মানুষে খাওয়ার চাল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ ৯ মাসে চাল আমদানি হয়েছে ১২,২২,৮৪৩ মেট্রিক টন। এ চালের ঋণপত্র খোলার সময় দাম দেখানো হয়েছে ৪২,৯৫,০৭,৪৫০ মার্কিন ডলার বা ৩৩,২০,১৫,৮১,১০০ টাকা (এক ডলার সমান ৭৮ টাকা হিসাবে)। প্রতি টন চালের আমদানি মূল্য ২৭,৩৯৬ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজি চালের আমদানি মূল্য হয় ২৭ টাকা। কিন্তু এ আমদানি মূল্যের চাল গো-খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হওয়ার কথা না। আমদানির সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এ চালের অংশ উন্নত চাল (চিকন চাল) আমদানি করা হলেও গড় মূল্য কেজি প্রতি ২৭ টাকা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ব্যাংকে ঋণপত্র খোলার সময় এমন দাম দেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দেশে যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। আমদানি করার প্রয়োজন নেই। আমদানি করা চাল গো-খাদ্য ও পোল্ট্রি ফিডের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আমদানিকারকরা জানিয়েছেন। মানুষের খাওয়ার জন্য চাল আমদানি করা প্রয়োজন নেই।

আমদানিপণ্যের ঋণপত্র ওপেনকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালীর সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা  জানান, সম্প্রতি ভারতের চালের গোডাউন পরিষ্কার করা হচ্ছে। এ জন্য পুরনো চাল কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। সে চাল বাংলাদেশের আমদানিকারকরা কম দামে কিনে আনছে। তাহলে ঋণপত্র খোলার সময় দেখানো চালের দামের সাথে যে অতিরিক্ত টাকা পাঠানো হচ্ছে এ ব্যাপারেও প্রশ্ন তোলে ব্যাংক সূত্রটি।

প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G