সন্ত্রাসী পাখি!
আলমগীর খন্দকার
প্রায় ৪ ফুট লম্বা এক পক্ষী গপাগপ গিলে চলেছে এর আশপাশের ক্ষুদ্রকায় সব প্রাণীকে। প্রাণীরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ত্রাস। দিগ্বিদিক ছুটে পালাচ্ছে অন্য প্রজাতির পাখিরাও। ভাবুন তো একবার পরিস্থিতিটা। বলবেন, এতো রীতিমতো সন্ত্রাসী পাখি!
হ্যাঁ, তাই। সন্ত্রাসী এ পাখিটির নাম স্কাজিলা ম্যাগনিফিসেন্ট। তবে ভয়ের কারণ নেই। আজ থেকে ৩৫ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে অতিকায় এ প্রাণীটি। সম্প্রতি এটির জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইন দিয়েছে এ খবর।
আর্জেন্টিনার লা এস্তাফেতা সৈকতের কাছের পাহাড়ে পাওয়া গেছে এ পাখিটির ফসিল বা জীবাশ্ম। এটির উচ্চতা ছিল ১ দশমিক ২ মিটার (৩ দশমিক ৯৩ ফুট)। পাখিটির ওজন ১৮ কিলোগ্রাম।
জীবাশ্মবিদরা বলছেন, সাড়ে ৬শ লাখ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অতিকায় ডাইনোসরের পর এরাই প্রাণীজগতে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ছিল। আমাদের পরিচিত উঠপাখি বা এমুসহ এ পর্যন্ত পাওয়া অতিকায় ও শিকারি পাখিদের চেয়ে এ প্রজাতির পাখি ছিল কয়েক গুণ বেশি বড়।
জীবাশ্ম গবেষণাবিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অব ভার্টিব্রাটা প্যালিওনটোলজিতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পাখিটির ফসিল আবিষ্কারের গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়। এর সহকারী গবেষক ফার্নান্ডো স্কাজিলার নামে পাখিটির নামকরণ করা হয়।
স্কাজিলা বলেন, এ প্রাণীটি এতো বড় ছিল যে এরা এক গ্রাসেই মোটামুটি বড় আকারের শিকারও গিলে ফেলত। মজার ব্যাপার হলো এদের কান ছিল খুব ছোট। তবে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গের শব্দও এরা শুনতে পেত। আবার মুখ দিয়ে এ পাখিগুলো বিকট শব্দ করতে পারত।
প্রতিক্ষণ/ এডি/ তপু