আমলকীর ঔষধি গুণ

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৩৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ

maxresdefaultআমলকীও পাতা দুটোই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় একে ভিটামিন ‘সি’র রাজা বলা হয়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। আমলকীতে কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ

বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন ‘সি’ দরকার। দিনে দুটো আমলকী খেলে এ পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ পাওয়া যায়। আমলকীর পাতা ও ছাল থেকে তৈরি পরীক্ষামূলক ওষুধে কিছু রোগ নিরাময়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেমন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ এবং কিডনি রোগ। দীর্ঘ মেয়াদি কাশি, সর্দি থেকে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।

খাবার খেতে ভালো না লাগলে অরুচি হলে আমলকী খেলে মুখে রুচি বাড়ে।স্কার্ভি বা দন্তরোগ সারাতে টাটকা আমলকীর জুড়ি নেই। এ ছাড়া পেটের পীড়া, সর্দি, কাশি ও রক্তহীনতার জন্যও খুবই উপকারী। লিভার ও জন্ডিস রোগে উপকারী বলে ছোট্ট এ আমলকী বিবেচিত। আমলকী, হরিতকী ও বহেড়াকে একত্রে ত্রিফলা বলাহয়। এ তিনটি শুকনো ফল একত্রে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা ছেঁকে খালি পেটে শরবত হিসেবে খেলে পেটের অসুখ ভালো হয়।

বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরিতে আমলকী ব্যবহার হয়। কাঁচা বা শুকনো আমলকী বেটে একটু মাখন মিশিয়ে মাথায় লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। কাঁচা আমলকী বেটে গোসলের দুই থেকে তিন ঘা পূর্বে মাথায় মেখে রোদে বসে শুকিয়ে ধুলে চুলের গোড়া শক্ত হয়। আমলকী বাটা নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে রাতে ঘুম ভালো হয় ও মাথা ঠা-া থাকে, চুল ঝরঝরে থাকে, চুলের রং কালো হয় এবং চুল কম পাকে। আমলকী বেটে তার সঙ্গে সাদা চন্দন ভালোভাবে মিশিয়ে পুরো কপালে ঘষলে মাথা ধরায় আরাম পাওয়া যায়।

কাঁচা আমলকীর রস দুই ফোঁটা করে দিনে দুইবার ব্যবহার করলে তিন দিনে চোখ ওঠা ভালো হয়।হার্টের রোগীরা আমলকী খেলে ধড়ফড়ানি কমবে। টাটকা আমলকী তৃষ্ণা মেটায়, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বন্ধ করে, পেট পরিষ্কার করে।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G