দেশিয় পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষণ
জেলা প্রতিনিধি :
আলু সংরক্ষণের জন্য সাধারণত হিমাগার ব্যবহার করে থাকেন চাষিরা। তবে দেশিয় পদ্ধতিতে আলু সংরক্ষণ করে সেখান থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব।
আর সেটি প্রমাণ করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা থানার এক ব্যক্তি।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বোধখানা গ্রামের আলী হোসেন মোড়ল এবার দেশিয় পদ্ধতিতে ৪০ টন খাবার আলু সংরক্ষণ করেছেন।
এতে তার সাশ্রয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। লোকসানের কারণে তিনি আলু চাষ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ অবস্থায় খরচ সাশ্রয়ের পথ পেয়ে তিনি সে সিদ্ধান্ত পাল্টে আগামিতে আরো বেশি পরিমাণ চাষ করতে উৎসাহিত হয়েছেন।
তিনি জানান, খেত থেকে আলু ওঠানোর পর সুষ্ঠু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারে রাখতে হয়। কিন্তু প্রায় প্রতি বছর দেখা যায় ওই আলুর যে বাজার মূল্য পাওয়া যায়, তাতে হিমাগারের খরচই ওঠে না।
আলু সংরক্ষণে সাহায্যকারী যশোর ক্ল্যাসিক সিড ফার্ম জানায়, দেশিয় পদ্ধতির আলু সংরক্ষণের বিষয়টি সম্পূর্ণ বাঁশ নির্ভর। বাঁশ দিয়ে ২০ ফুট দৈর্ঘ, ১০ ফুট প্রস্থ ও সাত ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি ঘর তৈরি করলে তাতে ৮৫০ মণ আলু সংরক্ষণ করা যায়। প্রয়োজনে আনুপাতিক হারে ঘরের আকার ছোট বড় করা যেতে পারে।
ঘরের পেছনে একটি ও দুই পাশে দুইটি জানালা লাগাতে হবে, যার আকার হতে হবে দৈর্ঘে তিন ফুট ও প্রস্থে দুই ফুট। ছাউনি হতে হবে খড় বিচালি অথবা গোলপাতার। ঘরটি গাছের ছায়ায় হলে ভালো হয়।
এ ছাড়া মাচা, বেড়া ও চাল নিয়ম অনুযায়ী করে দরজা জানালা বাদেও ঘর তৈরি যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবাধ বাতাস ঢোকার উপযোগী করে ঘর তৈরি করলে কোনো সমস্যা হবে না।
আলু চাষি আলী হোসেন মোড়ল জানান, এবার তার ৪০ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। দেশিয় পদ্ধতিতে এই আলু সংরক্ষণ করায় তার সাশ্রয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।
প্রতিক্ষণ/এডি/নুর