রাঙ্গামাটির সুবলং ঝর্ণা
প্রকৃতির মুগ্ধতায় নিজেকে রাঙাতে ঘুরে আসতে পারেন রাঙামাটির সুবলং ঝর্ণা থেকে। বাংলাদেশজুড়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রাকৃতিক আর মনুষ্যনির্মিত দর্শনীয় স্থান।বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে যে কয়েকটি পাহাড়ি ঝর্ণা বা ঝিরি রয়েছে তার মধ্যে রাঙ্গামাটির বরকল উপজেলায় অবস্থিত সুবলং ঝর্ণা অন্যতম।
মূলত পাহাড়ী সবুজের মাঝে বিস্ময় হয়ে থাকা এই ঝর্ণাটি তার উচ্চতা ও অবিরাম জলস্রোতের কারণেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। যদিও একথা সত্য যে, বাংলাদেশের অন্য অনেক ঝর্ণার মতো সুবলংয়ের এই ঝর্ণাটিও তার প্রকৃত রূপের পসরা সাজায় বর্ষার সময়টাতেই। এ সময় প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে সশব্দে পাহাড়ি এই জলধারা নেমে আসে সমতলে।
সুবলং ঝর্ণার সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো, একক কোনো ধারায় না পড়ে এই ঝর্ণাটি তার উঁচু অবস্থান থেকে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ধারায় একই সমান্তরালে নেমে আসে। ফলে ঝর্ণা থেকে পড়া পানির ধারাটি এক অপূর্ব সৌন্দর্য্যের জন্ম দেয়।
আর এ কারণেই বড়কল উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮টির মতো ঝর্ণা থাকলেও এই ঝর্ণাটি দেখতেই বছরে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোকের সমাগমঘটে। তাছাড়া এই ঝর্ণাটির পানি উপর থেকে পতনের সময় খুব সীমিত জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে বলে পর্যটকরা ঝর্ণাধারা উপভোগ করতে পারেন বেশ কাছ থেকেই।
রাঙ্গামাটি সদর থেকে সুবলংয়ের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। এখানে যাওয়ার জন্য দেশের যেকোনো স্থান থেকে রাঙ্গামাটি পৌঁছানোর পর রিজার্ভ বাজার বা পর্যটন ঘাটে যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে স্পিড বোট বা দেশী নৌকায় করে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সুবলংয়ে। আর নৌযানে করে সুবলংয়ের পথে যাবার মনোরম দৃশ্য নিঃসন্দেহে পর্যটকদের প্রকৃতি দর্শনের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/মাসুদ