কাকের বিষ্ঠা হতে সাবধান!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
স্থান-কাল-পাত্র নির্বিচারে অবলীলায় মলত্যাগে কাকেদের জুড়ি মেলা ভার। প্রাচীন বিশ্বাসে অনেকে আবার এর সঙ্গে সৌভাগ্যের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন। কিন্তু সেই ধারণায় সম্প্রতি পানি ঢেলে দিয়েছেন ম্যাড্রাস ভেটেরিনারি কলেজের গবেষকরা।
আপনি হয়ত কোথাও যাওয়ার জন্য ফিটফাট হয়ে বেরিয়েছেন। হঠাৎ ইস্ত্রি করা জামার ওপর কোথা থেকে এসে পড়ল একরাশ নোংরা। মুখ তুলে তাকাতেই নজরে এল গাছের ডালে বসা দুষ্কৃতি। কাকের বিষ্ঠা-বর্ষণে এহেন নাজেহাল পথচারীর জন্য গভীরতর বিপদের কথা জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ভারতের চেন্নাই শহরের ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে তারা জানিয়েছেন, মূলত চার প্রজাতির পরজীবী কাকের শরীরে বাসা বেঁধে থাকে। বিষ্ঠায় উপস্থিত এই পরজীবীগুলোর মধ্যে অন্তত দু’টির সংক্রমণে বিবিধ জটিল রোগ ছাড়াও মাথা ঘোরা, গা-বমি ভাব, পেট ব্যথা এমনকি ডায়রিয়াও হতে পারে। তবে এই সমস্ত সাধারণ রোগ ছাড়াও কাক-বিষ্ঠার সংক্রমণে জীবন সংকটও দেখা দিতে পারে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানুষের বসতির আশেপাশে জঞ্জাল ঘাঁটার সময় অথবা পোকা-মাকড় বা অন্য পাখির ডিম খেতে গিয়েই এই পরজীবীদের নিজের শরীরে অজান্তে আশ্রয় দেয় কাক। প্রাণী বিশেষজ্ঞ এ প্রতীপ জানিয়েছেন, অনেক সময় পরজীবী আক্রান্ত প্রাণীর মাংস খাওয়ার সুবাদেও তাদের শরীরে আস্তানা গাড়তে দেয় কাক। পরে সেই পরজীবীদের অসংখ্য বিষাক্ত ডিম কাকের মলের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ে। মানুষের শরীর স্পর্শ করার পর তার থেকেই রোগ ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষ্ঠা শুকিয়ে গেলেও তার মধ্যে থাকা পরজীবীদের ডিম দিব্যি বেঁচে থাকে। এই কারণে, কাকের বিষ্ঠা শরীরে লাগলে অন্তত ৫ মিনিট সাবান দিয়ে সে স্থানটি পরিস্কার করা প্রয়োজন।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল